প্রায় তিন দশকের দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনে বিচ্ছেদের ঘোষণা করেছেন এ আর রহমান ও তার স্ত্রী সায়রা বানু। বিয়ের বহু বছর পর স্বামী এ আর রহমানের সঙ্গে বিচ্ছেদের কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সায়রা বানু। জানা গেছে, তাদের সম্পর্কের মধ্যে মানসিক চাপের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
এই জুটির বিচ্ছেদে রীতিমতো হতবাক ভক্ত-অনুরাগীরা।
কেন এমন বিচ্ছেদ, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন নেটিজেনরাও। এরই মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে এক যোগসূত্র। এ আর রহমানের বিচ্ছেদ ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরেই রহমানের সহশিল্পী মোহিনী দে তার স্বামী ম্যাকের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেছেন। আর দুই ঘটনার মধ্য়েই যোগ খুঁজে পেয়েছেন নেটিজেনরা।
এমনকি গুঞ্জন রয়েছে মোহিনীর সঙ্গে পরকীয়ার কারণেই রহমানের এই ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত!
এদিকে রহমান ও মোহিনীকে জড়িয়ে বিতর্ক শুরু হতেই এবার মুখ খুললেন রহমানের প্রাক্তন স্ত্রী সায়রা বানুর আইনজীবী বন্দনা শাহ। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানালেন, এসব বিতর্কের কোনো অর্থ নেই। মোহিনীর ডিভোর্সের সঙ্গে রহমান ও সায়রার ডিভোর্সের কোনো সূত্র নেই। এটা তাদের একেবারে নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তাই অযথা বিতর্ক না করাই ভালো।
তিনি আরো বলেন, প্রত্য়েকটি দীর্ঘ বিবাহিত জীবনই ওঠা-পড়ার মধ্য় দিয়ে এগিয়ে চলে। আমি খুবই খুশি, তারা খুব সচেতনভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই বিচ্ছেদ একেবারেই খারাপ বৈবাহিক জীবনের ফল নয়। সায়রা ও রহমান দুজনই দুজনকে সম্মান করেন।
২৯ বছরের মোহিনী দে কলকাতার মেয়ে। রহমানের সঙ্গে দেশে-বিদেশে প্রায় ৪০টি শোয়ে পারফর্ম করেছেন তিনি। ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে নিজের অ্য়ালবামও প্রকাশ করেছেন। শোনা যায়, রহমানের খুবই পছন্দের শিল্পী তিনি। বুধবার রহমান ডিভোর্স ঘোষণা করার পরপরই মোহিনীও তার ডিভোর্স ঘোষণা করে লিখেছেন, হৃদয়ে খুবই বেদনা নিয়ে এটা জানাচ্ছি, যে মার্ক এবং আমি বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই বিচ্ছেদ একেবারেই দুজনের সিদ্ধান্ত। দুজনে আলাদা হলেও, আমরা খুব ভালো বন্ধু থাকব। এবং ম্যাকের সঙ্গে কাজেও যুক্ত থাকব। আমরা দুজনেই মিলে অনেকগুলো প্রোজেক্টে কাজ করছি। সেটা সফলভাবেই শেষ হবে। আমাদের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানান আপনারা, এটাই সবার কাছে চাইব।
১৯৯৫ সালে সায়রা বানুর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন এ আর রহমান। তাদের তিন সন্তান খতিজা, রহিমা ও আমিন। দীর্ঘ ২৯ বছর এ তারকা দম্পতি সংসার করেছেন একসঙ্গে। সর্বশেষ আম্বানিদের ছোট ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল রহমান ও তার স্ত্রী সায়রা বানুকে।
আ.দৈ/এআর