শুধু যত্নের অভাবেই নয়, দেহগত কারণেও চুল পাতলা, মলিন, রুক্ষ হতে পারে।
তাই চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কেশ পরিচর্যার পাশাপাশি স্বাস্থ্য ভালো রাখারও দরকার আছে। যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা নিবাসী চর্মরোগ-বিশেষজ্ঞ ডা. মহিবা টারিন বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে চুলের ধরন, প্রকৃতির পরিবর্তন এমনকি ঘনত্ব পরিবর্তনের সাথে স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্পর্ক রয়েছে। তাই সুন্দর চুলের জন্য আগে স্বাস্থ্যের প্রতি মনযোগী হওয়া জরুরি।
পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব
নির্জীব বা পাতলা চুলের অর্থ হল, বেশি পরিমাণে প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া হচ্ছে। আর খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত প্রোটিন, ভালো চর্বি ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের অভাব রয়েছে। অনেক বেশি রঙিন ফল ও সবজি এবং কমপক্ষে দুতিন ধরনের প্রোটিন যেমন- মুরগির মাংস, ডিম, মাছ, টফু, সবজি, দুধের তৈরি খাবার ও বাদাম খেতে হবে।
খাদ্যতালিকায় ভালো চর্বি যেমন- তৈলাক্ত মাছ, অ্যাভাকাডো, ডার্ক চকোলেট ও খাবার জলপাইয়ের তেল রাখা উপকারী। এগুলো চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং ভিটামিন ডি শোষোণে সাহায্য করে। এই ভিটামিনের অভাবে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেখ।
দাঁতের সমস্যা
গবেষকরা দেখেছেন যে, দাঁত ও মাড়ির সমস্যার সাথে চুল পড়ার সম্পর্ক রয়েছে।
যাদের ‘অ্যানাজেন হেয়ার সিন্ড্রোম’ অর্থাৎ টানলেই সহজে চুল উঠে আসার সমস্যা রয়েছে তাদের দাঁতে ‘ক্যাভিটি’র সমস্যা দেখা দেয় এবং এনামেলের প্রলেপ দুর্বল হয়ে যায়।
মানসিক চাপের কারণে চুল পড়া
অতিরিক্ত চুল পড়ার অন্যতম কারণ হতে পারে মানসিক চাপ। যেমন- অসুস্থতা, গর্ভাবস্থা, হতাশা ইত্যাদি চুল পড়ার অন্যতম কারণ। চাপের কারণে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয় যাকে ‘টেলোজেন এফ্লুভিয়াম’ বলা হয়। চাপ কমার সাথে সাথে এই সমস্যাও দূর হয়ে যায়।
জন্ম বিরতিকরণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
জন্ম বিরতিকরণ ওষুধের কারণে চুল পাতলা হয়ে যায়। শুষ্ক ও নির্জীব দেখায়। এই ধরনের সমস্যার শিকার হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হরমোনাল নয় এমন জন্মবিরতিকরণ পিল ব্যবহার করতে হবে।
থায়রয়েডের সমস্যা
হঠাৎ করে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়া হতে পারে ‘হাইপোথায়রয়ডিজম’য়ের লক্ষণ। থায়রয়েড গ্রন্থি চুলের বৃদ্ধি সাধন ভূমিকা রাখে। এটা যখন পর্যাপ্ত হরমোন তৈরি করতে পারে না তখন চুল পড়া ও পাতলা হয়ে মাথার তালু বের হয়ে আসার সমস্যা দেখা দেয়।
অতিরিক্ত টেস্টোস্টেরন
মাথার তালুর অংশে চুল পড়ে যাওয়া সমস্যার প্রধান কারণ হল অতিরিক্ত টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন। এর কারণে নারীদের মুখে ঠোঁটের ওপরের গাঢ় দাড়ি অথবা বাহুতে পাতলা লোম ও পেটে চর্বি হতে পারে। পেটের চর্বি টেস্টোস্টেরন উৎপাদন বাড়ায় তাই ওজন কমানোর মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধান করা যায়।
আ. দৈ/সাম্য