শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
Ajker Dainik
#৪২ রানেই দশ উইকেটের পতন দেখলো বাংলাদেশ

বাংলাওয়াশের পথে জিম্বাবুয়ে

আজকের দৈনিক | এম মাহীউজ্জামান শাওন

প্রকাশিত: মে ১১, ২০২৪, ০৭:৩৭ পিএম

বাংলাওয়াশের পথে জিম্বাবুয়ে
৩৭ বলে সাতটি বাউন্ডারিতে ৫২ রান করেছেন তানজিদ হাসান তামিম। ছবি-সংগৃহীত

১৪৪ রানের টার্গেটে ১৩৮ রানেই থামলো সিকান্দার রাজার দল। পাঁচ রানের ব্যবধানে সিরিজের টানা চতুর্থ হার সফরকারীদের। এর আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই চট্টগ্রামেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম পর্ব শেষে গতকাল টি–টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হয় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ইতোমধ্যেই প্রথম তিন ম্যাচ জিতে সিরিজে ৩–০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল তারা।

গতকাল মিরপুরে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ে নামে সফরকারী দল। এদিন টিমে ফেরেন বাংলাদেশের তিনজন অভিজ্ঞ প্লেয়ার। একজন সাকিব আল হাসান এবং অন্য দুজন  সাতক্ষীরা এক্সপ্রেস- সৌম্য সরকার ও মুস্তাফিজুর রহমান। এদিন বেঞ্চে বসানো হয় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, সাইফউদ্দিন এবং ফর্মহীন লিটন কুমারকে। জিম্বাবুয়ের হয়ে দলে ফেরেন রায়ান বার্ল ও রিচার্ড এনগারাভা। এই ম্যাচে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় স্কোয়াড্রন লিডার অসিম জাওয়াদ মৃত্যুতে শোক জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করে দুই দল।   

ম্যাচের প্রথম ইনিংসের পাওয়ার প্লেতে এবারের সিরিজের সর্বোচ্চ রান তোলে বাংলাদেশের দুই ওপেনার  সৌম্য সরকার ও তানজিদ হাসান তামিম।

গতকাল এই মাচে দ্বিতীয়বারের মতো সিরিজের অর্ধশতকের দেখা পান তামিম। এদিন তিনি সৌম্য সরকারকে সাথে নিয়ে বিনা উইকেটেই ১০ ওভারে ১০০ রান সংগ্রহ করেন। তবে এরপরই একপ্রকার ধরাশায়ী হয়ে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। পরবর্তী ৫ ওভারে রানের খাতায় যোগ হয় মাত্র ২৩। আর উইকেটের পতন ঘটে ৫টি। একে একে তানজিদ তামিম, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান। এরপরের ২১ রানে বাংলাদেশ ১ বল হাতে রেখেই নিজেদের সকল উইকেটের পতন ঘটিয়ে ব্যাটিং ইনিংস শেষ করে প্যাভিলিয়নে ফেরে।  প্রথম ইনিংসে  বাংলাদেশের নাটকীয় ব্যাটিং ধসের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ফিল্ডারদের অদ্ভুতুড়ে ফিল্ডিং এর সাক্ষী হয় দর্শক-সমর্থকরা। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ঠিক বাকি আছে মাত্র ৩০টি দিন। এই ক্ষণগননার শুরুতেই এমন পারফরমান্স হয়তো একটু হলেও চিন্তিত করবে বাংলার কোটি মানুষকে।

 ১৪৫ রানকে তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই ব্রায়ান বেনেটের উইকেট হারায় টিম জিম্বাবুয়ে। নিজে ফিরেছেন শুন্য রানে তাই গতকাল হয়তো বেনেটকেই শুন্য হাতে ফেরাতে চেয়েছিলেন বাংলার স্পিডস্টার। তাইতো তাকে শুন্য রানেই ফেরান তাসকিন। নিজের পরের ওভারেই জিম্বাবুয়ান অধিনায়ক সিকান্দার রাজাকে ১৭ রানেই মাঠছাড়া করেন তিনি। ব্যাটিং এ নেমে রান করতে না পারার ক্ষোভই যেনো ফুটে উঠেছিল! অনেকদিন পর টি টোয়েন্টি নামা সাকিব আল হাসান পরের ওভারে ফেরান মারুমানিকে। পাঁচ ওভারেই তিন উইকেট শিকার করে বাংলাদেশের বোলাররা। জিম্বাবুয়ের রান তখন মাত্র ৩৩। পরের পাঁচ ওভারে তাদের খাতায় যুক্ত হয় আরও ২৫ রান। অনেকটা চাপেই পড়ে যায় জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা। পরবর্তী ১০ ওভারে তাদের প্রয়োজন ছিল ৮৬ রান। জিম্বাবুয়ে ১৩ ওভারে ৪ উইকেটে তোলে ৮৭ রান।

জিম্বাবুয়ের রানের তাড়া থামাতে তখন মুস্তাফিজকে আনেন শান্ত। কাটার মাস্টার এসেই স্লোয়ারে লুক জঙ্গুয়েওকে ঘরে ফেরান। পাওয়ার প্লের পর নিজের শেষ দুটি ওভারের সমাপ্তি করতে আসেন সাকিব আল হাসান। তিন ওভারে প্রয়োজন ২৭ রান। মুস্তাফিজ তার শেষ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে ফারাজ আকরামকে ফিরিয়ে খেলা নিজেদের দখলে নিয়ে আসেন। শেষ ওভারে ১৪ রানের লক্ষ্য আটকাতে সাকিব আসেন বোলিং এ। জিম্বাবুয়ের হাতে ছিল মাত্র দুটি উইকেট। সাকিব অবশ্য তার ওভারের দুবল হাতে রেখেই জিম্বাবুয়ের ইনিংস শেষ করেন। ব্যাটিং এ মাত্র ১ রানের দেখা পেলেও এদিন তিনি ৩৪ রানে নেন চারটি উইকেট।

আদৈ/ এমএমএস 

Link copied!