শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
Ajker Dainik

 বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের স্মারকলিপি নিতে চায়নি  পরিবেশ অধিদপ্তর

আজকের দৈনিক | নিজস্ব প্রতিবেদক    

প্রকাশিত: মার্চ ২৭, ২০২৪, ০৯:২৭ পিএম

 বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের  স্মারকলিপি নিতে চায়নি  পরিবেশ অধিদপ্তর

পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবির স্মারকলিপি  গ্রহণে অনীহা প্রকাশ করেছেন। ডিজির অনুমতি ছাড়া স্মারকলিপি গ্রহণ করা হবে না বলে জানান ওই অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। তবে অনেক অনুরোধের পর স্মারকলিপি গ্রহণ করেছেন।

বুধবার (২৭ মার্চ) বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) নেতারা পরিবেশ অধিদপ্তরের অফিসে গিয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালকের কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তর করতে চান। তবে প্রথমে বাপা নেতাদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। এক পর্যায়ে শর্তসাপেক্ষে সাংবাদিক ছাড়া ৩/৪ জনকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। নানাভাবে অনাগ্রহ প্রকাশের পর বাপা নেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্তি মহাপরিচালক স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।


এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাপা জানায়, বাপার সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদারের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল সংগঠনের পক্ষ থেকে পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালকের কাছে গেলে তারা মহাপরিচালক ব্যস্ত আছেন বলে ২০ মিনিট রুমের বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখেন। এরপর প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার পর রুমে যাওয়ার পরে একপর্যায়ে বাপা নেতারা অতিরিক্ত মহাপরিচালকের রোষানলের শিকার হন, যা দুঃখজনক।

এর আগে পরিবেশ অধিদপ্তরের সামনে ‘বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে দ্রুত ও জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের’ দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি করে বাপা। এতে উপস্থিত ছিলেন- বাপার সহ-সভাপতি মহিদুল হক খান, যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার, আমিনুর রসুল, হাসান ইউসুফ খান ও হুমায়ুন কবির সুমন, আরডিআরএসের চেয়ারম্যান মোয়া এজাজ, মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্রের মহাসচিব মাহবুল হক, বাপার জাতীয় কমিটির সদস্য মো. হাফিজু হাজী, শেখ আনছার আলী, শাকিল কবির, মোনছেফা তৃপ্তি, তিতলি নাজনিন প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদার বলেন, ‘বিশ্বের মধ্যে বায়ুদূষণে শীর্ষে অবস্থান করছে বাংলাদেশ, যা জাতীর জন্য লজ্জাজনক। দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মকে বায়ুদূষণের কারণে পঙ্গুত্বের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।’

আলমগীর কবির বলেন, ‘বায়ুদূষণ রোধে পরিবেশ অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয় সম্পূর্ণ ব্যর্থ। পরিবেশ অধিদপ্তর অকার্যকার প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।’ক্যাপসের চেয়ারম্যান ও স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউট থেকে প্রকাশিত বায়ুদূষণ বিষয়ক এক বৈশ্বিক প্রতিবেদন অনুযায়ী বায়ুদূষণের কারণে বিশ্বের সব মানুষের গড় আয়ু দুই বছর চার মাস কমছে। অপরপক্ষে বাংলাদেশের একজন নাগরিকের গড় আয়ু কমছে ৬ বছর ৮ মাস। পরিবেশমন্ত্রীর ১০০ দিনের কর্মপরিকল্পানার কথা বলা হলেও কার্যত কোন কর্মসূচি দেখা যাচ্ছে না। এখন প্রয়োজন পরিবেশগত সুশাসন।’
আ. দৈনিক/ একে

Link copied!