শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
Ajker Dainik
বেইলি রোডের ঈদ বাজার

গ্রিন কোজির আগুনে পুড়েছে ব্যবসায়ীদের কপাল

আজকের দৈনিক | ওয়াকিয়া কেয়া

প্রকাশিত: মার্চ ২৭, ২০২৪, ০৪:৪৪ পিএম

গ্রিন কোজির আগুনে পুড়েছে ব্যবসায়ীদের কপাল
ছবি-আজকের দৈনিক

বেইলি রোডের বিভিন্ন শপিংমল, শোরুম ও দোকানে বাহারি পণ্য বরাবরই চোখে পড়ার মতো। ঈদ মৌসুম ছাড়াও যেখানে ক্রেতাদের ভিড়ে পা ফেলার উপায় ছিলো না, দোকানিরা পেতেন না অবসর, সেই বেইলি রোডে এবার ক্রেতাদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। সেখানে এখন প্রায় সব দোকানেই ক্রেতাহীন, থমথমে চিত্র। দোকানীদের মতে, আগুনের প্রভাবেই এখন এই অবস্থা।

 

গত ২৯ ফেব্রুয়ারিতে আগুন লাগে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনটিতে। পুড়ে যায় ৭তলা ওই ভবনের পুরোটাই। এতে প্রাণ হারান অন্তত ৪৬ জন। এই ঘটনারই প্রভাব পড়েছে বেইলি রোডের ঈদ বাজারে। প্রতি বছরই এমন সময়ে থাকে তাদের জমজমাট ব্যবসা। কিন্তু এ বছর রমজান অর্ধেক শেষ হয়ে গেলেও দোকানিরা পাচ্ছেন না আশানুরূপ ক্রেতা। বেশিরভাগ ব্যবসায়ীদের মতে আগুনের ঘটনার ভীতির পাশাপাশি পার্কিং জায়গা কমে যাওয়ার কারণে ক্রেতারা আসতে চাইছে না এদিকে।

 

এছাড়া রমজানে শপিং করার জন্য ক্রেতাদের অন্যতম একটি বিবেচ্য বিষয় হল ইফতার। প্রতিবার শপিং করতে করতে অনেকেরই ইফতারের সময় হয়ে যায়। কিন্তু বেইলি রোড ট্র্যাজেডির কারণে কাচ্চিভাই, সুলতান ডাইন সহ বেশিরভাগ রেস্টুরেন্টই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে সেখানে পাওয়া যাচ্ছেনা পর্যাপ্ত ইফতারের সুবিধা।

 

যেহেতু বেইলি রোড মূলত খাবার-দাবারের জন্যই জমজমাট থাকে, সেখানে খাবারের দোকানগুলো বন্ধ করে দেওয়ায় কমে গেছে মানুষের আনাগোনা। এসব কারনেও বেচা-বিক্রি কমে গেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। বিক্রেতারা বলছেন, বেইলি রোডের বিকল্প হিসেবে ক্রেতারা ঝুঁকছেন বসুন্ধরা এবং যমুনা ফিউচার পার্কসহ অন্যান্য শপিং কমপ্লেক্সগুলোর দিকে।

 

তবে যারা এখনো বেইলি রোডে শপিং এর জন্য আসছেন তাদের বেশিরভাগেরই একই মতামত, তারা সবসময় এখান থেকেই শপিং করে অভ্যস্ত। ১৮ থেকে ২৫ রোজার মধ্যে ক্রেতার আগমন বাড়তে পারে বলে আশাবাদী বিক্রেতারা। তবে এখন পর্যন্ত ব্র্যান্ডশপগুলোতে ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি দেখা যাচ্ছে। সেখানে পুরুষেরা পাঞ্জাবি এবং নারীদের শাড়ির দিকেই ঝোঁক বেশি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। সেইসাথে কিছুটা বেশি বিক্রি হচ্ছে শিশুদের পোশাক।

 

এছাড়া ঈদুল ফিতরের পরপরই যেহেতু পহেলা বৈশাখ সেক্ষেত্রে ঈদের কেনাকাটার পাশাপাশি বৈশাখের জন্য কেমন সাড়া পাচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে বিক্রেতারা বলেন, এখন পর্যন্ত তেমন কোন সাড়া পাচ্ছেন না। তবে তাদের আশা ২০ রোজার পর তারা বৈশাখের ক্রেতা পাবেন। বিক্রেতাদের মতে ইফতার ও পার্কিং সমস্যার সমাধান করা গেলে হয়তো বেইলি রোডের সেই পুরনো চিত্র আবারো ফিরে আসবে।
 

 

আদৈ/এ রউফ

Link copied!