শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
Ajker Dainik

সন্ত্রাসনির্ভর সরকারের পরিণতি ভালো হবে না: রিজভী

আজকের দৈনিক | নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মার্চ ২৯, ২০২৪, ০৭:২৯ পিএম

সন্ত্রাসনির্ভর সরকারের পরিণতি ভালো হবে না: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ডামি নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে সন্ত্রাসনির্ভর হয়ে গেছে। তিনি বলেন,‌শিমুলদের মতো ব্যক্তিদের এমপি বানিয়েছেন সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে বিএনপি নেতাদের রক্তাক্ত করতে।’সন্ত্রাসনির্ভর সরকারের পরিণতি ভালো হবে না বলে এসময় হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন রিজভী।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীনকে দেখতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু এবং স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা: রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

রিজভী বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের এমপিদের সন্ত্রাসী বাহিনী দেশে ভয়াবহ নৈরাজ্যকর ও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। ডামি নির্বাচনের পর সরকার সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে। কারণ তাদের সাথে কোনো জনগণ নাই, তাদের জনগণের ভোটের কোনো প্রয়োজন হয় না।’

রিজভী আরো বলেন, ‘নাটোরের এমপি শিমুলের সন্ত্রাসী বাহিনী ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীনকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছে, তার উপর গুলি চালিয়েছে। ফরহাদ জেলা ছাত্রদল ও জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ছিল। সরকারবিরোধী আন্দোলন ও সংগ্রামে সে অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। আর এ কারণেই ক্ষমতাসীন দলের নেতারা তার ওপর ক্ষুদ্ধ। কিন্তু হত্যা করে, নিপীড়ন করে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না।’

উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান ওরফে শাহীনকে (৪২) মাইক্রোবাসের ধাক্কায় ফেলে দেয়ার পর পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। তারা নাটোর-২ (সদর ও নলডাঙ্গা) আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের অনুসারী।

ফরহাদ আলী দেওয়ান একটি রাজনৈতিক মামলায় হাজিরা দেয়ার জন্য ওইদিন দুপুর ১২টার দিকে দায়রা জজ আদালতে আসেন। হাজিরা দেওয়ার পর তিনি মোটরসাইকেলে আদালত থেকে সিংড়ার দিকে রওয়ানা হন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের ফুলবাগান এলাকায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতরের কার্যালয়ের সামনে পৌঁছলে পেছন থেকে একটি মাইক্রোবাস তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। তিনি সড়কের পাশে পড়ে গেলে ওই মাইক্রোবাস থেকে সন্ত্রাসীরা নেমে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে তার বাঁ হাত ভেঙ্গে দেয়। পরে তার পায়ে তিনটি গুলি করে।

খবর পেয়ে বিএনপির দুই কর্মী তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে তাৎক্ষণিক রাজশাহীতে নেয়া হয়। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে স্থানান্তর করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আ. দৈনিক / একে


 

Link copied!