শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
Ajker Dainik

সাবেক সহকারী কর কমিশনার শ্যামল কৃষ্ণের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের মামলা দায়ের

আজকের দৈনিক | নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মে ২৩, ২০২৪, ০৮:২৩ পিএম

সাবেক সহকারী কর কমিশনার শ্যামল কৃষ্ণের বিরুদ্ধে  অবৈধ সম্পদের মামলা দায়ের
ফাইল ছবি-

সাবেক সহকারী কর কমিশনার শ্যামল কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৮৫ লাখ ৯৫ হাজার ৭৯২ টাকার জ্ঞাত আয় বহিভূত অর্থাৎ অবৈধ স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের সুনিদিষ্ট অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সমন্বীত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ ২০০৪ সালের দুদক আইনের ২৭ (১) ধারায় এই মামলাটি দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. মাহবুব মোর্শেদ। মামলা নম্বর- ১৪। 

গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও উপ পরিচালক মো.আকতারুল ইসলাম। তিনি জানান, মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযুক্তসাবেক সহকারী কর কমিশনার শ্যামল কৃষ্ণ দাসের পিতার নাম ভোলা নাথ দাস। তার বর্তমান ঠিকানা- ৮২/ডি কদমতলা, বাসাবো, সবুজবাগ, ঢাকা। তার স্থায়ী ঠিকানা- গীতাঞ্জলী চরপাড়া সড়ক, থানা ও জেলা পটুয়াখালী।

 অভিযুক্ত শ্যামল কৃষ্ণ দাস ১৯৮৮ সালে জুলাই মাসে কর পরিদর্শক পদে চাকরিতে যোগদান করেন। পরে ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত তিনি অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার পদে চাকরি করেন। ২০১৫ সালের ৩০ জুন থেকে ২০২১ সাাল পর্যন্ত সহকারী কর কমিশনার পদে চাকরি করেন।

তিনি ময়মনসিংহ  কর অঞ্চল, টংগী এয়ারপোর্ট এলাকার সার্কেলের কর কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ইট ভাটার মালিক, পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতা, বিভিন্ন স্তরের ব্যবসায়ী এবং বড় বড় কর দাতাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের ঘুষ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। তিনি দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আয়কর দাতাদের এসেসমেন্ট (সম্পদ) কম দেখিয়ে পরস্পর যোগসাজশে বিপুল পরিমান অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন।

 অভিযুক্ত শ্যামল কৃষ্ণ দাস রাজধানীর সবুজবাগ থানার রাজারবাগ মৌজায় ৩.৯৬ অযুতাংশ (প্রায় আড়াই কাঠা) জমি ক্রয় করে ৬.৫ তলা ভবন নির্মাণ করেছেন। তিনি পাবলিক লি. কোম্পানিতে ৭১ লাখ ৯০ হাজার ৫৯ টাকার শেয়ার ক্রয়ের মাধ্যমে বিনিয়োগ করেছেন এবং ৫০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ক্রয় করেছেন। এছাড়াও তিনি ৬৫ তোল স্বর্ণালঙ্কার এবং অন্যান্য জিনিসপত্র ক্রয় করেছেন।

দুদকের নোটিশ পেয়ে সাবেক সহকারী কর কমিশনার শ্যামল কৃষ্ণ দাসের ২০২১ সালের ৪ এপ্রিল সম্পদের বিবরণী দাখিল করেন। তার বিবরণীতে বেরিয়ে এসেছে এসব তথ্য। তারঅর্জিত পারিবারি ব্যয়সহ ৩ কোটি ৪ লাখ ৯৭ হাজার ১৭ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। এরমধ্যে বেতনভাতাসহ গ্রহণযোগ আয় পাওয়া যায় ১ কোটি ১৯ লাখ ১ হাজার ২২৫ টাকা। ফলে তার অবৈধ  সম্পদের পরিমান দাঁড়ায়  ১ কোটি ৮৫ লাখ ৯৫ হাজার ৭৯২ টাকা।  তিনি এই সম্পদের বৈধ উৎস্য দুদকের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তাকে দেখাতে পারেননি। যারফলে তার বিরুদ্ধে ২০০৪ সালের দুদক আইনের ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধে উক্ত মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আ. দৈনিক / একে

Link copied!