শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
Ajker Dainik
আজিমপুর বড় দায়রা শরীফের সম্পত্তি আত্মসাতের পায়তারা

এক বিধবা নারী ও তার ২ সন্তান প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন 

আজকের দৈনিক | নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মে ১৫, ২০২৪, ০৫:৩১ পিএম

এক বিধবা নারী ও তার ২ সন্তান প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন 
ছবি সংগৃহিত

রাজধানীর পুরান ঢাকায় আজিমপুরে বড় দায়রা শরীফের উত্তরাধীকারী এতিম দুই সন্তানসহ এক বিধবা নারীকে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করে রাস্তায় নামিয়ে  দেওয়ার সুনিদিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই দায়রা শরীফের  মূল মালিক সৈয়দ শাহ ফজলুল্লাহ তার সম্পত্তি থেকে পুত্রবধু ( মরহুম সৈয়দ তানভিরের স্ত্রী)ও দুই সন্তানকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। সৈয়দ তানভিরের বিধবা স্ত্রী ও এতিম দুই সন্তান আজ অসহায় হয়ে পড়ছে। তাদের  বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এই পরিবারটি সুবিচার চেয়ে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।

বুধবার (১৫ মে) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) এক সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ তানভিরের বিধবা স্ত্রী ফারজানা হক লিমা,ছেলে সৈয়দ শাহ ফারহাদ উলস্নাহ ইয়াসিন (১৫) ও মেয়ে সৈয়দা তানজিয়া বেগম ঐশী(২১) তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আইজিপি ও পুলিশ কমিশনারসহ প্রশাসনের আশুহস্তক্ষেপ কামণা করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ তানভিরের বিধবা স্ত্রী  লিখিত বক্তব্যে বলেন, ফারজানা হক লিমার স্বামী মরহুম সৈয়দ শাহ বারাতুল্লাহ রজতুলা ওরফে তানভির। তাদের ঠিকনা, সাকিন-১১৬-২ টিউলিপ গার্ডেন, বড় দায়রা শরীফ আজিমপুর ঢাকা। তার স্বামী আজিমপুর বড় দায়রা শরীফের  উত্তরাধীকারীদের একজন। এই দায়রা শরীফের  মূল মালিক সৈয়দ শাহ ফজলুল্লাহ’র মৃত্যুর পর তার চার ছেলে ও দুই মেয়ে উত্তরাধীকারী হন। তার চার ছেলের মধ্যে দুইজন প্রতিবন্ধী। সুস্থ দুজনের একজন সৈয়দ তানভীর।

সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ তানভিরের বিধবা স্ত্রী বলেন, তার ভাসুর, ননদ ও তাদের সন্তান স্বজনরা পরিকল্পিতভাবে স্থানীয় প্রভাবশালীদের মরহুম তানভিরের বিধবা স্ত্রী ও এতিম সন্তান নানাভাবে হয়রানী করছেন। এই অসহায় পরিবারটিকে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে উৎখাতের  পাশাপাশি নির্মূল করার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।

স্থানীয় একজন প্রভাবশালী নেতার ছত্রছায়ায় ইতোমধ্যে এই অসহায় পরিবারের বাড়ির ভাড়াটিয়েদের বের করে তালা লাগিয়েছে। এই পরিবারটি ন্যায় বিচারের প্রত্যাশায় মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ ১২টি দফতরে একাধিকবার আবেদন করেছেন। কিন্তু কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে জানান। 

 লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, নানামুখী ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে এতিম ছেলে সৈয়দ শাহ ফারহাদ উলস্নাহ ইয়াসিন ও মেয়ে সৈয়দা তানজিয়া বেগম ত্রশীকে নিয়ে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছনে ফারজানা হক লিমা। এ ব্যপারে অনেক আগে পুলিশ কমিশনারের কাছে একাধিক আবেদন করা হলে, তিনি লালবাগের ডিসিকে বিষয়টি তদন্তর নির্দেশ দেন। ডিসি সাহেব এসি আশফাক চৌধুরি কে নির্দেশ দিলে তিনি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পান।  একই সাথেওইসময় এরপর সকল ষড়যন্ত্র বন্ধ করে বাড়িসহ অন্যান্য বিষয়ে আমাদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দেন।

কিন্ত মাত্র ১০ মাস পরই ওই পুলিশ কর্মকর্তাগন অন্যত্রে বদলী হওয়ার আবার নতুন করে শুরু হয় এই পরিবারের ওপর অত্যাচার নির্যাতন। গত ২৯ এপ্রিল আসামী আরফানা বেগম, আরিফুল ইসলাম সিফাত, জহিরম্নল ইসলাম বাচ্চু, ফজিলাতুন্নেসা তন্নী, আফসারী বেগম, আজগারী বেগম, মোস্তারি বেগম, এনাম উলস্নাহ জোহায়ের, আসেম বিলস্নাহ সোহেল, হুজাফফার , ইস্কানদার, রহমত, মাহফুজাসহ অজ্ঞাত ১২ জন লালবাগ থানার এসআই রাজিবের সামনে মরহুম সৈয়দ তানভিরের বিধবা স্ত্রী ফারজানা হক লিমা বেধড়ক মারধর করে।

তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে আদালতে মামলা চলমাান থাকার পরও তারা এতিম দুই সন্তানসহ সৈয়দ তানভিরের বিধবা স্ত্রী ফারজানা হককে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। ওই বাড়ির ভাড়ার টাকায় তাদের সংসার চালতো। এখন স্কুল - ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া দুই সন্তান নিয়ে তিনি দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। শুধু তাইনয়, যে কোন সময় এই পরিবারের সস্যদের ওপর আবার বড় ধরণের হামলা ও মাদকের মামলায় জড়িয়ে  নতুন করে হয়রানী আশঙ্কা রয়েছে। কারণ তাদের প্রতিপক্ষের বেশিরভাক লোকই মাদক সংশ্লিষ্ট বলে অভিযোগ করেন।

 
আ. দৈনিক / একে

Link copied!