শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
Ajker Dainik

 সুন্দরী নারীদের প্রতারণার ফাঁদ সোশ্যাল মিডিয়া,

আজকের দৈনিক | মেহেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২৪, ০৯:১৫ পিএম

 সুন্দরী নারীদের প্রতারণার ফাঁদ সোশ্যাল মিডিয়া,
ফাইল ছবি-

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সুন্দরী নারীর ছবি দিয়ে পাতা হয় ফাঁদ। সে জালে আটকানো হয় প্রবাসী যুবকদের। এরপর চলতে থাকে ব্যক্তিগত ছবি আদান প্রদান। যার সবই ইন্টারনেট থেকে নামানো। একটা সময় বিশ্বস্ততা অর্জন হলে, মোটা অংকের অর্থ লুট করে গায়েব হয়ে যায় চক্রটি। এমনই প্রতারণার শিকার মেহেরপুরের এক কোরিয়ান প্রবাসী সাঈদ। ফাঁদে পড়ে অর্ধকোটি টাকা খোয়ান তিনি। বিষয়টি প্রশাসনকে জানালে বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয় চক্রের দু’জনকে। তহমিনা খাতুন ও তার স্বামী আজাদুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

তাদের স্বীকারক্তিতে মেলে প্রতারণার আদ্যপান্ত। ফেসবুক, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপে নারীদের প্রতারণার ফাঁদ। টার্গেট প্রবাসী যুবক। কেউ কেউ বলছেন, ভিনদেশে একাকিত্ব আর সরলতায় প্রতারক চক্রের ফাঁদে পা দেন প্রবাসীরা। কেউ কেউ বলছেন, ভিনদেশে একাকিত্ব আর সরলতায় প্রতারক চক্রের ফাঁদে পা দেন প্রবাসীরা। 

অভিযুক্ত তহমিনা খাতুন বলেন, ২০১৮ সালের শেষ দিকে বাটন ফোনের অপেরা ব্রাউজার দিয়ে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। সেখানে উনি আমাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায়। প্রথমে আমি কথা বলতে চাইনি, পরে উনি বারবার মেসেজ করত কথা হত। কিন্তু কোনো টাকা পয়সা আগে লেনদেন হয়নি। কয়েকমাস কথা বলার পর উনি নিজে থেকে আমাকে প্রথমে ৪ হাজার ৫০০ টাকা পাঠান। সবমিলিয়ে আমাকে ৪৭-৫০ লাখ টাকার মতো পাঠিয়েছেন। 

অভিযুক্ত তহমিনার স্বামী আজাদুল ইসলাম বলেন, আমার অজান্তে মোবাইলের মাধ্যমে ওই (তহমিনা) সব করেছে। আবার ওই ওখান থেকে অন্য নাম্বারে ক্যাশআউট করেছে আমার অজান্তে। হাতিয়ে নেয়া টাকা লেনদেন হয় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের বিভিন্ন সিম থেকে। যার সহায়তা করতো তহমিনার বন্ধু রবিউল ইসলাম।
অভিযুক্ত তহমিনা খাতুন বলেন, যখন প্রথম প্রথম টাকা দিয়েছে তখন রবিউল আমাকে বললো এভাবে এভাবে আরও টাকা দেবে। এভাবে করে রবিউলও টাকা নিয়েছে। আমার রেজিষ্টারকৃত সিমটা ওরই দেয়া। ওর (রবিউল) বাবা-মা ও ওর রেজিষ্টারকৃত সিমেই সবগুলো টাকা আসছে। সাইদের মতো অনেক প্রবাসী পড়ছেন এমন প্রেমের ফাঁদে। হচ্ছেন নিঃস্ব।

পুলিশ বলছে, চক্রের মাস্টারমাইন্ডের খোঁজ চলছে। মেহেরপুর ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। পরে ব্যাপক তদন্ত সাপেক্ষে চার্জশিট দাখিল করা হবে। তবে এ ঘটনায় জড়িত মূলহোতা রবিউল পলাতক থাকায় এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ।


আ. দৈনিক / একে/ইকে টিপু/ এমআই

Link copied!