শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
Ajker Dainik
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে

বকেয়া বেতনের দাবীতে সড়কে শ্রমিকরা,পুলিশের লাঠিচার্জ 

আজকের দৈনিক | রায়পুর, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি, 

প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০২৪, ০৫:১২ পিএম

বকেয়া বেতনের দাবীতে সড়কে শ্রমিকরা,পুলিশের লাঠিচার্জ 

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে রাখালিয়া বেঙ্গল সু ইন্ডাস্ট্রি লিঃ ৩ থেকে ৭ মাসের বেতন পরিশোধ না করেই সাময়িক ভাবে বন্ধ ঘোষনা করায় শনিবার সকাল থেকে প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে শ্রমিকরা।

শ্রমিকরা জানান (৩০ মার্চ) সকালে তারা কর্মস্থলে আসলে প্রবেশে বাঁধা সৃষ্টি করে মিল কর্তৃপক্ষ । এসময় প্রায় চার ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে বেতন ভাতার দাবিতে মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয় শ্রমিকরা। পরে বেলা ১২ টা নাগাদ পুলিশ শ্রমিকদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে গেলে শ্রমিকদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এসময় বেশ কয়েকজন শ্রমিক গুরুতর আহত হয়।

এক শ্রমিক জানান, বেতন দিতে হিমশিম খাওয়ায় এই পথ অবলম্বন করেছে কর্তৃপক্ষ। তিনি জানান, ২০১৮ সালের মে মাসেও এমন অবস্থা তৈরি হয়েছিলো। তখনও বেতন ভাতা নিয়ে হিমশিম খায় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটি।

কয়েকজন শ্রমিক অভিযোগ করে বলেন, প্রতিবছর প্রতি ঈদের আগে এমনকি প্রতিটি উৎসবের আগে আমাদেরকে বেতন ভাতা না দিয়ে মিল বন্ধ করে দেয় মালিকপক্ষ। গতকালও হঠাৎ করে রাতে নোটিশ দিয়ে আমাদেরকে আজকে থেকে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধের ব্যাপারে জানায়। অনেকটা ভঙ্গুর দশায় রয়েছে। তাই আমরা আমাদের বেতন ভতার দাবিতে সকাল থেকে এখানে উপস্থিত হলে মালিকপক্ষ পুলিশ আনিয়ে আমাদের উপরে লাঠিচার্জ করায়। ঘটনার সময় আমাদের বেশ কয়েকজন নারী শ্রমিক গুরুতর আহত হন। তাদেরকে চিকিৎসা দেয়ার জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
 
লাঠিচার্জের বিষয়ে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিন ফারুক মজুমদার বলেন, শ্রমিকদের দাবি ভিত্তিহীন। আমরা লাঠিচার্জ করিনি। আমরা তাদের পক্ষে কাজ করেছি।এ বিষয় বেঙ্গল স্যু ইন্ডাস্ট্রির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনা আমাদের অভ্যন্তরীণ। আমরা শ্রমিক সন্তোষ নিয়ে কাজ করছি। সার্কেল এসপি ও ইউএনও স্যার পরিদর্শন করেছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক। 

রায়পুর-রামগঞ্জ সার্কেলের এসপি আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদী বলেন, পুলিশ কাউকে বাঁধা দেয় না। ওদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে ওদের মধ্যে কোনো নেতা নেই। তাদের পক্ষে কথা বলার মতো কেউ নেই। তাই আমরা শ্রমিকদের হয়ে মালিক পক্ষের সাথে কথা বলেছি। তখন কতিপয় শ্রমিক ধারণা করেছেন আমরা মালিক পক্ষের হয়ে কাজ করছি। এসময় কিছু বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিলো। পরে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে। মালিকপক্ষ জানিয়েছেন জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারী মাসের পুরো বেতন দিয়ে দিবেন এবং বোনাসের কিছু অংশ ঈদের আগে দিয়ে দিবেন।

রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান খান বলেন, আমি এখানে এসেছি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।
আ. দৈনিক/ একে/ জিহাদ

Link copied!