মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সমালোচনা জাতিসংঘ মহাসচিবের

মিয়ানমারের রাখাইনে হামলা চালিয়ে সাধারণ মানুষকে হত্যা করায় জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার (০৬ জুন) দেশটির সেনাবাহিনীর সমালোচনা করেছেন।  

রাখাইন প্রদেশে গত নভেম্বরে জান্তার ওপর হামলা চালায় আরাকান আর্মি নামের সশস্ত্র দলটি। ২০২১ সালে সেনা ক্ষমতা দখল নেবার পর এই প্রথম সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় সংখ্যালঘুদের এই দলটি।  সেনাবাহিনী আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে অভিযান চালায়, যার প্রভাব পড়ে বাংলাদেশ সীমান্তেও।  এই অভিযানে অনেক বেসামরিক মানুষ মারা যাওয়ায় গুতেরেস এর নিন্দা জানান।  

তার মুখপাত্র স্টেফানি দুজারিচ গুতেরেসের হয়ে বিবৃতি দেন।  সেখানে বলা হয়, ‘‘গুতেরেস রাখাইনসহ মিয়ানমারে দেশটির সেনাবাহিনীর সা¤প্রতিক হামলায় অসংখ্য বেসাসরিক মানুষ মারা যাওয়ায় এই হামলার নিন্দা জানান।' 

আরাকান আর্মি বলেছে, তারা দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের রাখাইন প্রদেশে আরো স্বায়ত্তশাসন চায়। এই রাখাইন প্রদেশ রোহিঙ্গাদের আবাসভ‚মি। এদের অধিকাংশ সেনাবাহিনীর অত্যাচারে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। 

আরাকান আর্মি জানিয়েছে, রাখাইনের রাজধানী সিতোয়ের বিয়ায়েন ফিউ গ্রামে হামলা জানিয়ে কমপক্ষে ৭০ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে জান্তা।  জান্তা অবশ্য একে ‘প্রপাগান্ডা' বলে উড়িয়ে দিয়েছে।

রাখাইনে ফোন ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তাই সংঘাতের খবর নিশ্চিত করার উপায় নেই।  গুতেরেস জান্তা ও আরাকান আর্মির সংঘাতের মাঝখানে আটকে পড়া রোহিঙ্গাদের ওপর ‘চলমান এই নিধন' বন্ধের আহবান জানিয়েছেন। 

রোহিঙ্গারা আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে তাদের জোরপূর্বক ঘর থেকে বের করে দেয়া, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া এবং লুটপাটের অভিযোগ করেছেন। সেনাবাহিনীও রোহিঙ্গাদের জোর করে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে লড়াই করতে বাধ্য করছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা। 

মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর হামলায় সবশেষ ২০১৭ সালে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।  তারও আগে থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজার ও টেকনাফ এলাকায় একাধিক ক্যাম্পে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করতেন।

আ. দৈনিক / একে/ শাহীন