শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
Ajker Dainik

ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে আর্কাইভ গুরুত্বপূর্ণ : প্রধানমন্ত্রী

আজকের দৈনিক | নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: জুন ৮, ২০২৪, ০৯:২৪ পিএম

ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে আর্কাইভ গুরুত্বপূর্ণ : প্রধানমন্ত্রী
ফাইল ছবি-

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আরকাইভ সামাজিক দায়বদ্ধতা, স্বচ্ছতা, গণতন্ত্র চর্চার ক্ষেত্রে এবং ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তিনি বলেন, আজকের সৃষ্ট নথিপত্রই আগামী দিনের ঐতিহাসিক দলিল তথা মূল্যবান আরকাইভ উপকরণ হিসেবে বিবেচিত হবে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আশা করি, আমাদের আরকাইভিস্টগণ তাঁদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও দক্ষতা প্রয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয় আরকাইভসকে আরো সমৃদ্ধশালী হিসেবে আত্মপ্রকাশে নিজেদের নিয়োজিত করবেন।

‘আন্তর্জাতিক আরকাইভস দিবস’ উপলক্ষ্যে শনিবার (০৮ জুন)  এক বাণীতে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। আরকাইভস সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করাই ‘আন্তর্জাতিক আরকাইভস দিবস’ উদযাপনের মূল উদ্দেশ্য।

শেখ হাসিনা বলেন,‘আন্তর্জাতিক আরকাইভস সংস্থা ২০০৭ সালের বার্ষিক সাধারণ সভায় সংস্থাটি প্রতিষ্ঠার দিন ১৯৪৮ সালের ৯ জুনকে ‘আন্তর্জাতিক আরকাইভস দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বাংলাদেশ জাতীয় আরকাইভস আন্তর্জাতিক আরকাইভস সংস্থার সদস্য হিসেবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত ‘আন্তর্জাতিক আরকাইভস দিবস’ পালন করছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।’ তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন জ্ঞান পিপাসু, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সচেতন মানুষ ছিলেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে ৩০ লাখ বীর শহিদের রক্ত ও ২ লাখ স্ভ্রমহারা মা-বোনের আত্মত্যাগ এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান-আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অদম্য সাহসিকতার বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশকে ‘সোনার বাংলাদেশ’ এ রূপান্তরিত করার কাজে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। একই সাথে তিনি বাঙালির বীরত্বপূর্ণ ইতিহাস, গর্বিত ঐতিহ্য ও আবহমান সংস্কৃতির তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণের বিষয়টিও বিবেচনায় রেখেছিলেন। সেই প্রেক্ষাপটে তিনি রাষ্ট্র কাঠামো পরিচালনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সকল প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি ১৯৭২ সালে ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির কেন্দ্রীয় সংরক্ষণাগার ‘বাংলাদেশ জাতীয় আরকাইভস’ প্রতিষ্ঠা করেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে শেরেবাংলা নগরে জাতীয় আরকাইভসের জন্য ২ একর জমি প্রদান করেন এবং প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আওতায় এই প্রতিষ্ঠানটির জন্য স্থায়ী ভবন নির্মাণের সকল উদ্যোগ গ্রহণ করেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর এদেশের অগণতান্ত্রিক সরকারগুলো এই প্রতিষ্ঠানটিকে এগিয়ে নিতে কোনো উদ্যোগ নেয় নাই। বরং তারা আমাদের গর্বিত ইতিহাস বিকৃত করেছিল এবং এদেশ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠনের পর আমরা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জাতির সামনে তুলে ধরি। ২০০১ সালের ১৪ জুন জাতীয় আরকাইভস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করি।

তিনি বলেন, গত সাড়ে ১৫ বছরেও আমরা জাতীয় আরকাইভসের অবকাঠামো ও পরিষেবা উন্নয়নে বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ২০১৬ সালে আমরা অনেকগুলো নতুন পদ সৃষ্টি করেছি এবং আরকাইভস ও গ্রন্থাগার পরিদপ্তরকে অধিদপ্তরে উন্নীত করেছি।
 
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ও স্থায়ী দলিল-দস্তাবেজ সংগ্রহ, সংরক্ষণসহ দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ‘বাংলাদেশ জাতীয় আরকাইভস আইন, ২০২১’ জারি করেছি।

তিনি আরো বলেন, সনাতনী, পুরাতন নথিপত্র ডিজিটাইজেশন করার কার্যক্রম চালু করেছি। যার ফলে আমাদের গবেষক, লেখক, সাহিত্যিক, প্রোফেশনাল, শিক্ষার্থী, সংস্কৃতি কর্মী, গণপ্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, নীতি নির্ধারক ও সর্বোপরি সাধারণ জনগণ নানাভাবে উপকৃত হচ্ছে।

আ. দৈনিক/ একে

Link copied!