শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
Ajker Dainik

পপ সম্রাট আজম খানের জন্মদিন আজ

আজকের দৈনিক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৪, ০৫:১৬ পিএম

পপ সম্রাট আজম খানের জন্মদিন আজ
আজম খান । ছবি-সংগৃহীত

বাংলাদেশের পপ সংগীতের কিংবদন্তি আজম খানের ৭৪তম জন্মদিন আজ (২৮ ফেব্রুয়ারি)। ১৯৫০ সালের আজকের দিনেই পৃথিবীতে এসেছিলেন প্রয়াত এই সংগীতশিল্পী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা।

বাংলা পপ গানের সম্রাট বলা হয় আজম খানকে। পপ গানকে শুধু বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত করাই নয়, সাধারণ মানুষের কাছেও পৌঁছে দিয়েছেন নতুন ধারার এই গান। পুরো একটি প্রজন্মকে সুরের মূর্ছনায় কাঁপিয়েছেন তিনি।

 

শুধু রক বা পপ সংগীত নয়, বাংলা গানের ইতিহাসে আজম খান আলাদা একটি নাম; তার এই নাম অমলিন অধ্যায় হয়ে আছে এবং থাকবে।

 

বঞ্চিত, নিপীড়িত মানুষের কথা সহজভাবে বলে গিয়েছেন এই পপসম্রাট। একসময় তার গানে উঠে আসে সচেতনতা, দেশপ্রেম, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়, তরুণদের উদ্বুদ্ধকরণের মতো বিষয়। বাধা এসেছে, তবে দমে যাননি পপ গুরু; হয়ে উঠেছেন বিপ্লবী।

 

তার কণ্ঠে উঠেছে “রেললাইনের ওই বস্তিতে”, “হাইকোর্টের মাজারে”, “এত সুন্দর দুনিয়ায়”, “অভিমানী”, “অনামিকা”, “পাপড়ি”, “আলাল ও দুলাল”, “আসি আসি বলে তুমি আর এলে না”, “আমি যারে চাইরে”, “জ্বালা জ্বালা”, “ও চাঁদ সুন্দর”, “ও রে সালেকা ও রে মালেকা”, “জীবনে কিছু পাব না রে”, “বাধা দিয়ো না”সহ অনেক জনপ্রিয় গান।


আজিমপুরের ১০ নম্বর কলোনিতে জন্মেছিলেন আজম খান। শৈশব কেটেছে আজিমপুর ও কমলাপুরে। গান নিয়ে তার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না। শৈশবের জায়গাগুলো থেকে গানের সঙ্গে নানাভাবে জড়িয়ে যান এই পপসম্রাট।

 

ষাটের দশকের শুরুতে পপ সম্রাটের কর্মজীবন শুরু হয়। ১৯৭২ সালে তার ব্যান্ড “উচ্চারণ” এবং “আখন্দ” (লাকী আখন্দ ও হ্যাপী আখন্দ) দেশব্যাপী সংগীতের জগতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।


একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন তিনি। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের সময় আজম খান পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। তিনি তখন ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য ছিলেন। ১৯৭০ সালে টিঅ্যান্ডটি কলেজ থেকে বাণিজ্য বিভাগে এইচএসসি উত্তীর্ণ হন। মুক্তিযুদ্ধের সময় কুমিল্লার সালদায় প্রথম সরাসরি যুদ্ধ করেন। দুই নম্বর সেক্টরে সেকশন ইনচার্জ ছিলেন। সেকশন কমান্ডার হিসেবে ঢাকা ও এর আশপাশে বেশ কয়েকটি গেরিলা অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। যাত্রাবাড়ী-গুলশান এলাকার গেরিলা অপারেশনগুলো পরিচালনার দায়িত্ব পান। তার নেতৃত্বে সংঘটিত হয়েছিল “অপারেশান তিতাস”।

 

১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আজম খানের জন্ম, তার নাম ছিল মাহবুবুল হক খান। ১৯৫৫ সালে আজম খান প্রথমে আজিমপুরের ঢাকেশ্বরী স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৫৬ সাল থেকে পরিবারসহ থাকতেন কমলাপুরে। আমৃত্যু সেখানেই ছিলেন তিনি।

 

মরণব্যাধি ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ২০১১ সালের ৫ জুন। তার গানগুলো আজও সমসাময়িক; এই কীর্তি তাকে হাজার বছর বাঁচিয়ে রাখবে।

 

আ.দৈ/এ রউফ

Link copied!