বাংলাদেশের ব্যাংক লুট, অর্থ পাচারকারী, ভুমি দস্যু এমন অনেক ট্যাগ লাগানো সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ শিল্প উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ। তার বিরুদ্ধে এশিয়ার সবচেয়ে বড় নবায়ন যোগ্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র 'তিস্তা সোলার লিমিটেডে ' তার একক আধিপত্যের বিষয়টি বেশ আলোচিত।
তিনি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার 'লাটশালা' ও 'চরপোদ্দা' নামের দুটি গ্রামে ২০১৭ সালে বিদুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের জন্য প্রায় সাত শত একর জমি অধিগ্রহণ করিয়েছেন। এলাকার বেকার ও দরিদ্র মানুষকে কর্মসংস্থানের আশ্বাস দিয়ে হাতিয়ে নেন শত শত পরিবারের জমি।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, সালমান এফ রহমানের ছেলে নিজে এসে তাদের কে জমির ন্যায্য মুল্য দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তারা সেটা পাননি।
ন্যায্য মুল্য চাইতে গেলে সালমান এফ রহমান ও তার ছেলের পোষা স্থানীয় তৎকালীন সরকারের দলীয় মান্তান বাহিনীর সহায়তায় নিরীহ লোকজনকে বিভিন্ন রকম ভয়-ভীতি দেখাতো ও প্রাণনাশের হুমকী দিতো।
এ নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ নিয়ে গেলেও স্থানীয়দের অভিযোগ কখনোই আমলে নেননি পুলিশ। ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায় দ্রুত তাদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করে তাদের কিছু কিছু কর্মসংস্থান এর ব্যাবস্থা করলে তাদের মানবেতর জীবন থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, তিস্তা সোলার লিমিটেডের একজন কর্মকর্তার সাথে কথা বললে তিনি জানান যে জমি অধিগ্রহণের টাকার ব্যপারে তিনি কিছু অবগত না, তবে এটা সম্পুর্ণ উর্ধতন ব্যাক্তিদের নির্দেশে হয়েছে।
স্থানীয়দের দাবী,প্রশাসনের সদাচারনের সাথে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপ ও সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এ অঞ্চলের শত শত পরিবারের ন্যায্যে পাওনা তারা ফিরে পেতে চান।
আ. দৈ. /কাশেম/বাঁধন