অঅন্তর্বতীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ ১০ দেশে অবস্থানকারী বাংলাদেশ দূতাবাসের ৩৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীর তথ্য চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এ বিষয়ে দুদককে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন । আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন ইতোমধ্যে কয়েকটি মিশন থেকে রাষ্ট্রদূতদের দেশে ফিরে আসতে বলা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘চুক্তিভিত্তিক যারা ছিলেন তাদের সবাইকেই রিকল করা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজন অ্যাডমিন ক্যাডারের সাবেক কর্মকর্তা, গতকাল মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) তাদের চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। বাকিদের আমরা চার সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। সবাই চলে আসবেন। রিপ্লেসমেন্টে কিছুটা সময় লাগবে। এটা ভেবেচিন্তে দিতে হবে, অভিজ্ঞ যারা আছেন।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এটা আজকের পত্রিকায় আমি প্রথম দেখলাম। এখানে কিছু কনফিউশান থাকতে পারে, সেগুলো আমরা দূর করবো। অডিট অবজেকশন এবং দুর্নীতি এক জিনিস না। একটি ছোট উদাহরণ দেই। আমি দায়িত্বে থাকাকালীন কলকাতা মিশনের একটি গাড়ি কেনা হয়। এর চেয়ে অনেক ছোট গাড়ি দিল্লিতে কম দামে কেনা গেছে। অ্যাডভান্স দেওয়া হয়েছে এজেন্টকে, এজেন্ট মানে দালাল।'
তিনি বলেন, আসলে গাড়ির কোম্পানির এজেন্ট ওরা। অভিযোগ এসেছে যে দালালকে দেওয়া হয়েছে চার লাখ টাকা সেটা আদায়যোগ্য। অবজেকশনটা আমার বিরুদ্ধে। এটা আমি কেন দিলাম, আমার কাছ থেকে নাকি এ টাকা আদায়যোগ্য হবে। মিশন অডিটের ডিজিকে বললাম গাড়ি কিনতে হলে বুকিং দিতে হয়, সেজন্য আগাম কিছু টাকা দিতে হয়। অডিট অবজেকশন অনেকসময় এরকম হয়। সেগুলোকে দুর্নীতি হিসেবে দেখা হচ্ছে কি না দেখতে হবে। কারণ অভিযোগের ধরন দেখে মনে হচ্ছে এগুলো অনেকগুলো অডিট অবজেকশনের ফলাফল। অডিট অবজেকশন আর দুর্নীতি এক জিনিস না। আমরা দেখবো।’
তিনি বলেন, দুদককে অবশ্যই সহযোগিতা করবো। আমরা তো চাই না কোনো দুর্নীতি হোক। কাজেই যেটুকু সহযোগিতা চাইবে আমরা করবো, দেখতে হবে দুর্নীতি হয়েছে কি না। সেটা দেখে সেভাবে সহযোগিতা করবো।’
এ বিষয়ে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ আছে বলে আমার মনে হয় না। তবে আমি নিশ্চিত করে কিছু বলবো না যতক্ষণ প্রতিটা কেইস আমি ডিটেইলস দেখবো।’ অনেকে অতি উৎসাহিত হয়ে অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করছেন, এটি তেমন কি না জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা হতেই পারে, সবসময়ই হয়।’
আ. দৈ. /কাশেম