ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৬ প্রকৌশলীকে বিভিন্ন দপ্তরে বদলি এবং কয়েজনকে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। তবে এরমধ্যে বহুল আলোচিক চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ নির্বাহী প্রকৌশলী ও অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত আমিনবাজার ল্যান্ডফিল্ডের তত্তাবধায়ক এস এম শফিকুর রহমানকে নগর পরিকল্পনা বিভাগে স্থপতি পদে বদলি করা হয়েছে।
গত ০১ সেপ্টেম্বর (রোববার) ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলমের স্বাক্ষওে জারি করা অফিস আদেশে ৬ প্রকৌশলীকে বদলি এবং পদায়নের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এরমধ্যে খন্দকার মাহবুব আলম তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী,সিভিল সার্কেলকে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেলে বদলি করা হয়েছে।
ফারুক হাসান মো. আল মাসুদ নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর) অঞ্চল-৯ ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পুর) প্রস্তাবিত ড্রেনেজ সার্কেলের অতিরিক্ত দায়িত্বপালনকারীকে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী,সিভিল সার্কেলে বদলি করা হয়েছে।
মোহাম্মদ আবুল কাশেম তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) পরিবেশ, জলবায়ু ও দূযোর্গ ব্যবস্থাপনা সার্কেলকে নিজ দায়িত্বসহ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পুর), প্রস্তাবিত ড্রেনেজ সার্কেলে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
মো.ফরহাদ নির্বাহী প্রকৌশলী অঞ্চল-৭কে নির্বাহী প্রকৌশলী (ডিসপোজাল) ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে বদলি করা হয়েছে।
ইশতিয়াক মাহমুদ নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর) অঞ্চল-১ কে নিজ দায়িত্বসহ নির্বাহী প্রকৌশলী অঞ্চল-৭ এর অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
সুত্র মতে, অবশেষে ডিএনসিসিতে চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ ও কোটি কোটি টাকা লোপাটকারী সাবেক মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এবং মেয়র দপ্তরের শক্তিশালী সিন্ডিকেটের অন্যতম সহযোগী প্রকৌশলী এসএম শফিকুর রহমানকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের তত্বাবধায়ক ও আমিনবাজার ল্যান্ডফিল্ডের দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে।
কারণ তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, আমিনবাজার ল্যান্ডফিল্ডের উন্নয়নের নামে ভুয়া বিল ভাউচারে কোটি কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। একইসাথে ল্যান্ডফিল্ডের জন্য নতুন জমি অধিগ্রহণের নামেও নানা অনিয়মের অভিযোগ বেশ আলোচনায় রয়েছে।
শুধুতাই নয়, আমিনবাজার ল্যান্ডফিল্ডে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পে মাটি ভরাটসহ এই প্রকল্পের জামি ক্রমে/ অধিগ্রহণেও দুর্নীতির আলোচনায় আছে।
সুূত্রমতে, বিদেশ থেকে অনেক কোটি কোটি টাকা খরচ করে দামীও মূল্যবান যন্ত্রপাতি, গাড়ি ও রোড সুইপাড় ক্রয় করা হয়েছে। ওইসব গাড়ি, যন্ত্রপাতি রোড সুইপাড় রক্ষণা বেক্ষনের নামেও বড় ধরনের দুর্নীতি ও লোপাটের অভিযোগ রয়েছে। কারণ ওই যন্ত্রপাতি, গাড়ি ও রোডসুইপাড় ক্রয়ের কিছু দিন পরই আবার মেরামতের অজুহাতে মাসের পর মাস ওয়ার্কশপে ফেলে রাখা হয় এবং মেরামতের পরও ব্যবহার কারা হয় না এমন অভিযোগ উঠেছে।
ডিএনসিসির রেজিষ্ট্রার এবং ওয়ার্কশপের রেকর্ডপত্র ও বিল- ভাউচার যাচাই করলেই দুর্নীতির বিষয়টি বেরিয়ে আসবে বলে জানান সাধারণ কর্মচারীরা।
এদিকে প্রশ্ন উঠেছে, এস এম শফিকুর রহামন একজন বিদ্যুৎ বিষয়ক প্রকৌশলী,অথচ তাকে কার স্বার্থে কেনো সিভিল ইঞ্জিনিয়ারি ও যান্ত্রিক প্রকৌশল বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে পদায়ন করে কোটি কোটি টাকা লোপাট এবং দুর্নীতির সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
মেয়র আতিক পালালেও তার রেখে যাওয়া কতিপয় দুনীতিবাজ পদস্থ কর্মকর্তা এসএম শফিকুর রহমানকে রক্ষায় বেশি ব্যস্ত। সর্বশেষ বদলির অফিস আদেশেও বিদ্যুৎ বিভাগের প্রকৌশলী শফিকুর রহমানকে বিদ্যুৎ বিভাগে বদলি না করে তাকে নগর পরিকল্পনা বিভাগে স্থপতি পদে পদায়ন করা হয়েছে।
আ. দৈনিক/ কাশেম