রাউয়ালপিণ্ডির দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিন। পাকিস্তানের ২৭৪ রানকে তাড়া করতে নেমে ১১.৩ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। রানের খাতায় তখন মাত্র ২৬ ! জাকির-মমিনুল ১, সাকিব আল হাসান ২, মুশফিক ৩, শান্ত ৪, সাদমান ইসলাম ১০। রীতিমতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। আর এই অবস্থায় পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে ভাঙ্গন ধরানো মেহেদী হাসান মিরাজ।
ক্রিজে এসে সঙ্গ দিতে থাকেন লিটন কুমার দাসকে। দুজনে মিলে ধীরে ধীরে বাড়াতে থাকেন রানের সংগ্রহ। দুজনে মিলে গড়েন নতুন এক রেকর্ড। সপ্তম উইকেটের উপর ভর করে গড়ে ফেলেন ১৬৫ রানের জুটি। জেনে রাখাই ভালো, ১৪৭ বছরের টেস্ট ইতিহাসে ৫০ রানের কমে ষষ্ঠ উইকেট পতনের পর সপ্তম উইকেটে সবচেয়ে বড় জুটিটা এখন তাঁদেরই দখলে। পাকিস্তানেই এর আগেই সপ্তম উইকেটে সপ্তম উইকেটে সর্বোচ্চ জুটিটা ছিল ১১৫ রানের।
৭৮ রানে মিরাজ জুটি ভেঙ্গে মাঠ ছাড়লেও এক বছরেরও বেশি সময় পর লিটন তুলে নেন তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি। শেষ ভরসায় লিটন বোলার হাসান মাহমুদকে নিয়ে প্রায় লিডে এনে দিয়েছিলেন বাংলাদেশকে। লিডের জন্য রানের প্রয়োজন তখন ১২। নিজের ১৩৮ রান নিয়ে সালমানের বলে সায়েম আয়ুবকে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন লিটন। নাহিদ রানা এসে দুই বলেই হাসানকে নিয়েই মাঠ ছাড়েন। পাকিস্তান লিড পায় মাত্র ১২ রানের।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৩.৪ ওভারেই হাসান মাহমুদ তুলে নেন নাইটওয়াচম্যান আব্দুল্লাহ শফিক ও খুররাম শাহজাদের উইকেট। তৃতীয় দিনে পাকিস্তান ২১ রানের লিড নিয়ে দুই উইকেট হারিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস সমাপ্ত করে।
বাংলাদেশের প্রচেষ্টা থাকবে এবার পাকিস্তানকে যত দ্রুত সম্ভব দ্বিতীয় ইনিংস শেষ করানোর। কারণ যত লিড কম হবে ততই বাংলাদেশের আশা বাড়বে পাকিস্তান সিরিজ জেতার এবং একইসাথে নতুন ইতিহাস অর্জনের। বৃষ্টিবিঘ্নিত চতুর্থদিনে সোমবার (০২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকালে মাঠে নামবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান।