সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশ চারটি ফিফটির সুবাদে ৩২১ রানের বড় স্কোর গড়ে। এটি ২০২৪ সালে বাংলাদেশের প্রথমবার ৩০০ রান পার করা ইনিংস।
৬ষ্ঠ উইকেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও জাকের আলী অনিক ১৫০ রানের বিশাল জুটি গড়েন, যা ৬ষ্ঠ উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ। সেইসঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এটি প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর। এর আগে ২০১৯ বিশ্বকাপে টন্টনে ৩২২ রান করলেও সেটি ছিল রান তাড়ার ইনিংস।
৩২১ রান তোলার পর জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল টাইগাররা। শুরুটাও ভালো হয়েছিল, তবে মাঝের ওভারে ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে যায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৫ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটের ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নেয়। ফলে তিন ম্যাচ সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজে ১০ বছর পর ক্যারিবিয়ানদের কাছে ধবলধোলাইয়ের স্বাদ পেতে হলো টাইগারদের।
'বোলিংয়ে আরও ভালো করা যেত' — অধিনায়ক মিরাজ
অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন,
“আমরা বোলিংয়ে আরও ভালো করতে পারতাম। মাঝের ওভারে আমরা উইকেট নিতে পারিনি—এটাই ছিল আমাদের জন্য বড় সমস্যা।”
পরাজয়ের পর মিরাজের কণ্ঠে ছিল শেখার বার্তা। প্রথম দুটি ম্যাচে হারের পরও তিনি একই বিষয়ে কথা বলেছিলেন। তবে এবার প্রশংসা করলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। শেষ ম্যাচে ৬৩ বলে অপরাজিত ৮৪ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলা মাহমুদউল্লাহর পারফরম্যান্সকে মিরাজ বলেন,
“তিনি অসাধারণ খেলেছেন। সিরিজে তিনটি ফিফটি পেয়েছেন, যা দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত সৃষ্টি করেছে। আমরা তার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখি।”
তবে শেখার কথার পাশাপাশি উন্নতির প্রয়োজনীয়তার বিষয়টিও তুলে ধরলেন মিরাজ। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিকে সামনে রেখে আত্মবিশ্বাসের সুরে তিনি বলেন,
“এই সিরিজ শেষে আমাদের সামনে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আছে। আমরা জানি আমাদের কোথায় উন্নতি করতে হবে এবং কীভাবে তা করতে হবে।”
সিনিয়রদের অভাব ছিল, দায়িত্বও নিতেহবে — মিরাজ
এই সিরিজে বাংলাদেশ দলের একাধিক নিয়মিত খেলোয়াড় ছিলেন না। চোটের কারণে ছিলেন না অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম এবং তাওহিদ হৃদয়। পারিবারিক কারণে ছিলেন না পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। এই অভাব দলকে ভোগাল বলে জানান মিরাজ।
“এই সিরিজে আমরা বেশ কয়েকজন সিনিয়র খেলোয়াড়কে পাইনি। আমাকে (চারে ব্যাটিংয়ে) আরও দায়িত্ব নিতে হবে।”
পরবর্তী মিশন — টি-টোয়েন্টি সিরিজ
বাংলাদেশের সামনে এখন টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ১৬, ১৮ ও ২০ ডিসেম্বর কিংসটাউনে হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশের ক্ষত ভুলে নতুন উদ্যমে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া বাংলাদেশ দল।
আ. দৈ./ সাধ