বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, দেশে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইকারীদের একত্রিত হতে হবে জানিয়ে ‘ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা ছাড়া ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করা সম্ভব নয়। দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। যারা গণতন্ত্রের জন্য জীবন দিয়েছেন, তাদের রক্তের সাথে বেঈমানি করা যাবে না।’
আজ শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং ‘ফ্যাসিবাদ ও তার দোসরদের মোকাবেলায় আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসকনের সাবেক নেতাকে গ্রেফতার প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘এত বছর ধরে যে নির্যাতন, নিপিড়ন করেছে তখন কোনো প্রতিবাদ করেনি। শেখ হাসিনার পতনের পর নতুন সরকার আসার সাথে সাথে এই আন্দোলনটা কেন করতে হবে? তারা এদেশের মানুষ হয়ে ভারত সরকারের কাছে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানায়। বাংলাদেশ কারো অধীনে নাকি যে ব্যবস্থা নেবে? আর তারাও (ভারত) বিবৃতি দেয়। এই যে জুলাই-আগস্টে হাজার মানুষকে মেরে ফেলা হয়েছে এই নিয়ে তো কোনো বিবৃতি দেখলাম না। অ্যাডভোকেটকে মেরে ফেলা হলো এই নিয়ে তো কোনো বিবৃতি নেই। একজনকে গ্রেফতার করলে বিবৃতি দেবেন, আর হাজার হাজার মানুষকে খুন করলে বিবৃতি দেবেন না- এটা পক্ষপাত মূলক।’
ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে দেশে বিদ্যমান সব রাজনৈতিক সংগঠনের মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আমাদের মূল দায়িত্ব হলো সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। আগের সরকার জোরপূর্বক ক্ষমতা দখল করে নির্বাচনের নামে প্রহসন করছে। একটি অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা, যেখানে জনগণের মতামত সঠিকভাবে প্রতিফলিত হবে।’
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মোহাম্মাদ আজম খান। এতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মুফতি এনায়েত উল্লাহ হাফেজী, মহাসচিব মুফতি ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।
আ. দৈ. /কাশেম