বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের পদত্যাগ চেয়ে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন সাবেক ফুটবলাররা। তা না হলে তাকে ক্রীড়াঙ্গনে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
আজ সকালে বাফুফে ভবনের সামনে বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ও গোলরক্ষক আমিনুল হকের নেতৃত্বে সাবেক ফুটবলাররা এসেছিলেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক তারকা ফুটবলার কায়সার হামিদ, আলফাজ আহমেদ, রুম্মান বিন ওয়ালি সাব্বিরসহ আরও অনেকে।
আজ সকাল ১১টায় বাফুফে ভবনের সামনে 'দুর্নীত হটাও ফুটবল বাঁচাও' ব্যানারে এই
আন্দোলন করেন তারা। যেখানে কাজী সালাউদ্দিনের পতদ্যাগ চেয়ে বিএনপিপন্থী
ক্রীড়া সংগঠক ও অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম বলেছেন,
ফুটবল ফেডারেশন থেকে কাজী সালাউদ্দিনের পদত্যাগ চাই। ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম
দিলাম আমরা। এরপরও পদত্যাগ না করলে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে।
ফুটবল ফেডারেশনে মাহফুজ আক্তার কিরণের প্রভাব অনেক। গত কিছুদিন ধরেই কাজী
সালাউদ্দিনসহ তার পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন করেছেন ফুটবল সমর্থকরা। আমিনুল
অবশ্য কিরণকে নিয়ে ভাবছেনই না। সালাউদ্দিনের পদত্যাগই তাদের আন্দোলনের মূল
বিষয়।
জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হকও সালাউদ্দিনের পদত্যাগ দাবি জানিয়ে বলেন, ফুটবল ফেডারেশনে সালাউদ্দিন সহ অন্যদের থাকার অধিকার নেই। তারা দুর্নীতি ও ফুটবলকে নিচে নামিয়েছে।
ফুটবল ফেডারেশনে রাজনৈতিক চাপ ও সরকারি হস্তক্ষেপ হলে ফিফার নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা রয়েছে। এই বিষয়ে প্রশ্ন হলে আমিনুল বলেন, আমরা নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে ফুটবল ফেডারেশনে পরিবর্তন চাই। ফিফার সঙ্গে আলোচনা করেই সব কিছু করা যাবে। তবে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন বাঁচাতে সেটা সালাউদ্দিনের পদত্যাগের বিকল্প নেই।
আগামী অক্টোবরে বাফুফের নির্বাচন। সালাউদ্দিন ঘোষণা দিয়েছেন এবারও নির্বাচন করবেন তিনি। তার আগেই সালাউদ্দিনের পদত্যাগ চান তারা এবং নির্বাচন যেন পিছিয়ে দেয়া হয়, সে জন্য ফিফার কাছে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন আমিনুল হক।
তিনি বলেন, ফিফার কাছে আমরা অনুরোধ করতে পারি, নির্বাচন যেন আর কিছুদিন পিছিয়ে দেয়া হয়। তাহলে যারা খেলোয়াড় কিংবা সংগঠক আছেন, তারা আরও বিচার-বিশ্লেষণ করে দেশের ফুটবল কিভাবে সাজাতে পারি, সেটা আমরা ক্রীড়া উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলে সুন্দর জায়গায় নিয়ে যেতে পারব বলে আশা করি।
আন্দোলনের পর বাফুফে ভবনে ঢুকে পড়েন সাবেক ফুটবলাররা ও সমর্থকরা। পরে
বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষারের সঙ্গে দেখা করে নিজেদের দাবি
তুলে ধরেন। সেই বার্তা যেন কাজী সালাউদ্দিনের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়, সেটাও
জানিয়েছেন সাবেক ফুটবলাররা।
আ.দৈ/এআর