শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি (এসজেআইবিপিএলসি) দেশের শরিয়াহভিত্তিক একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক। ব্যাংকিং কোম্পানি আইন ১৯৯১-এর অধীনে নিবন্ধিত এই ব্যাংকটি ২০০১ সালের ১০ মে ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে ১০টি শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে শক্ত অবস্থানে রয়েছে ব্যাংকটি। এছাড়া ৬১টি ব্যাংকের মধ্যে গ্রীণ জোনে প্রথম ৮টি ব্যাংকের ভিতরে রয়েছে। আর্থিক সূচকে এক কথায় একটি মজবুত ব্যাংক হিসেবে বর্তমানে এর অবস্থান। ব্যাংকটির বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোসলেহ্ উদ্দীন আহমেদ। ব্যাংকটির বর্তমান অবস্থা, আগামীর পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আজকের দৈনিক-এর অর্থনৈতিক প্রতিবেদক রমজান আলী।
আজকের দৈনিক: বর্তমান সংকটে কীভাবে ব্যাংকিং করছেন?
মোসলেহ্ উদ্দীন আহমেদ: শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের আর্থিক অবস্থান অন্য সব ব্যাংকের চেয়ে অনেকগুণ মজবুত। আমরা ঋণ দেয়ার আগে গ্রাহকের সার্বিক আর্থিক পরিস্থিতি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে বিনিয়োগ দিয়ে থাকি। তাই অন্য সব ব্যাংকের চেয়ে আমাদের বিনিয়োগ অনেক ভাল অবস্থানে আছে। আমরা ঝুঁকিটাকে আগে মোকাবেলা করি। ফলে আমাদের খেলাপি বিনিয়োগের মাত্রা অনেক কম। সার্বিকভাবে বলতে গেলে শাহ্জালাল ব্যাংকে কোনো সংকট নেই। বরং আমরা সেসব গ্রাহকদেরকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে যারা সংকটময় সময়ে ব্যাংকের গ্রাহক। তাদের বলছি, আসেন, আমরা আপনাদের সহযোগিতা করবো। বর্তমানে ব্যাংক খাতে একটা সংকট চলছে। তাই আমাদের যেহেতু সমর্থ রয়েছে। তাই আমরা তাদেরকে সেবা দিতে রাজি আছি।
আজকের দৈনিক: ব্যাংকের সেবার পরিধি সম্পর্কে জানতে চাই?
মোসলেহ্ উদ্দীন আহমেদ: বর্তমানে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকে দেশব্যাপী ১৪০টি শাখা, উপ-শাখা, শতাধিক এটিএম বুথ, এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট, অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট এবং প্রাইয়োরেটি সেন্টারের মাধ্যমে অত্যন্ত সুনাম ও আস্থার সাথে গ্রাহকদের ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে আসছে। দেশের কৃষি, অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প, তৈরী পোষাক ও অবকাঠামো থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক বিনিয়োগ সুবিধা প্রদান করে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
বর্তমান সময়ে ব্যাংকিং সেক্টরে গ্রাহক আস্থার নাম শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি। গ্রাহকদের আন্তরিকভাবে সেবা প্রদান, আমানত ও বিনিয়োগ, ক্রেডিট রেটিং-সহ সার্বিক সূচকে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এর অবস্থান অত্যন্ত সন্তোষজনক। দিন দিন আমানত ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির পাশাপাশি এই ব্যাংকের গ্রাহক সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি ইসলামী শরীয়া’র ওয়াকালাহ্ ধারণা অনুসরণ করে চালু করেছে ইসলামী ক্রেডিট কার্ড। আমাদের রয়েছে টোয়েন্টি ফোর আওয়ার এটিএম সার্ভিস ও রিয়েল টাইম অনলাইন ব্যাংকিং। আমাদের রয়েছে এসএমএস পুশ-পুল সার্ভিস, যার মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রাহক তাদের লেনদেনের তথ্য ও ব্যালেন্স জানতে পারেন।
বৈদেশিক রেমিটেন্স সেবা প্রদানের জন্য বিশ্বের বিখ্যাত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রেমিট্যান্স কোম্পানীর সাথে আমাদের চুক্তি রয়েছে, এদের মধ্যে ওয়েস্টার্ণ ইউনিয়ন, মানিগ্রাম, এক্সপ্রেস মানি, রিয়া, ট্রান্সফাস্ট, ব্র্যাক স্যাজন, ন্যাশনাল মানি ও আল জামান-সহ আরো কিছু উল্লেখযোগ্য মাধ্যমে প্রবাসীরা নিরাপদ ও দ্রুততার সাথে তাদের কষ্টার্জিত অর্থ দেশে পাঠাতে পারেন, যা তাদের আত্মীয়-স্বজন আমাদের ব্যাংকের যে কোন শাখা হতে উত্তোলন করতে পারেন। তাছাড়া আমাদের সকল শাখায় রয়েছে অনলাইন ভিত্তিক ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট করার সুবিধা। একজন গ্রাহক তিতাস গ্যাস, পিডিবি, পল্লী বিদ্যুৎ, ওয়াসা, ডিপিসিডি, ডেসকো এবং বিটিসিএল এর সকল ধরণের ফি ও ট্যাক্স শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের যেকোন শাখার মাধ্যমে জমা দিতে পারেন।
ব্যবসায়ীদের জন্য শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের সকল শাখায় রয়েছে ই-জিপি সার্ভিস। যার মাধ্যমে সকল প্রকার সরকারী টেন্ডার অনলাইনে দাখিল করা যায়। এই ই-জিপি’র সাথে সংশ্লিষ্ট পে-অর্ডারের জন্য কোন প্রকার চার্জ আরোপ করা হয় না। শুধু তাই নয়, ই-জিপি সার্ভিসের সাথে প্রয়োজনীয় আর্নেস্ট মানি সংস্থানের জন্য অত্যন্ত সহজ শর্তে আর্নেস্ট মানি অথবা পে-অর্ডার ফাইন্যান্স স্কীম, যার মাধ্যমে দর-দাতাগণ সহজেই টেন্ডার-ডকুমেন্ট দাখিল করতে পারে।
আমরা আমাদের ব্যাংকিং সেবাকে Global Standard-এ উন্নীত করার লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। দেশে ব্যাংকিং কার্যক্রমের মাধ্যমে বিভিন্ন অঞ্চলে শিল্প প্রতিষ্ঠান, শ্রমঘন শিল্প প্রতিষ্ঠান, উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার লক্ষ্যে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছি, পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চল ও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা ব্যাংকিং সেবাকে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে বিস্তৃত করতে চাই, যাতে করে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষার মতো ব্যাংকিং-সেবা-প্রাপ্তি প্রতিটি ব্যক্তির আরেকটি মৌলিক অধিকার হিসেবে বিবেচিত হয়। তাহলেই সর্বত্র একটি দেশের টেকসই উন্নয়ন পরিলক্ষিত হবে।
আজকের দৈনিক: বর্তমান পর্ষদ কিভাবে সহযোগিতা করছে আপনাকে?
মোসলেহ্ উদ্দীন আহমেদ: বর্তমানে আমাদের ব্যাংকের ভালো ও নির্ভরযোগ্য বোর্ড অব ডিরেক্টরস রয়েছে। তাঁদের মধ্যে প্রত্যেকেই নিজ নিজ স্থানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য প্রশংসিত। বিজ্ঞ পর্ষদ তাঁদের সুচিন্তিত মতামত ও দক্ষ পরিচালনার মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে সর্বাত্মক সহায়তা দিচ্ছেন।
পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মধ্যে শতভাগ স্বচ্ছতা রয়েছে। যার ফলে বর্তমানে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে অন্যতম ভাল অবস্থানে রয়েছে ব্যাংকটি। এ রকম বোর্ড আর্থিকখাতে সব জায়গায় দরকার। শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি কোন একক ব্যক্তির ব্যাংক হিসেবে পরিচিত না, এখানে কোন পরিচালক তার একক প্রভাবে কোন বিনিয়োগ পাস করার এখতিয়ার রাখেন না। সবার সম্মিলিত সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে সকল বিষয়ে সমাধান হয়ে থাকে।
আজকের দৈনিক: ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন কাদের?
মোসলেহ্ উদ্দীন আহমেদ: অর্থনৈতিক উন্নয়ন কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে অধিক সংখ্যক গ্রাহককে বিনিয়োগ সুবিধার আওতায় আনতে কাজ করছে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক। গ্রাহকরা ব্যাংকের প্রাণ। তাদেরকে সর্বোচ্চ অগ্রধিকার দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা ব্যাংকিং সেবা দিয়ে যাচ্ছি। বৃহৎ বিনিয়োগের চেয়ে আমরা ছোট বিনিয়োগে গুরুত্ব দিচ্ছি। এক্ষেত্রে রিটেইলার, এসএমই, কৃষি, গবাদি পশু, মসলা ও মসলাজাতীয় পণ্য, ফলজসহ বেশকিছু আইটেমের ঋণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। মহিলাদের ক্ষেত্রে বিনা জামানতে বিনিয়োগ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংকের প্রত্যেকটি শাখা প্রধানকে গ্রাহক হয়রানির বিষয়ে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। প্রকৃত গ্রাহকরা যেন বিনিয়োগ পেতে কোনোভাবে হয়রানির শিকার না হয় সে ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে।
আজকের দৈনিক: ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের মধ্যে অনেকের ব্যবসায়িক নথিপত্র থাকে না। এজন্য তাঁরা ঋণসুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। এ সমস্যা সমাধানের উপায় কী?
মোসলেহ্ উদ্দীন আহমেদ: ব্যবসায়িক নথিপত্র কম থাকার কারণে অনেক সিএমএসএমই প্রতিষ্ঠানই তাদের চাহিদা অনুযায়ী বিনিয়োগ সুবিধা পায় না। তবে এসব গ্রাহকের ব্যবসা সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় নথিপত্র, বিভিন্ন সংস্থার অনুমোদনপত্র ও গ্রাহকের প্রয়োজনীয় আর্থিক প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করে থাকে। সেই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাদের বিনিয়োগ প্রদান করা হয়।
আজকের দৈনিক: ব্যাংকের আর্থিক সক্ষমতার কথা জানতে চাই?
মোসলেহ্ উদ্দীন আহমেদ: বর্তমানে ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ প্রায় ২৭ হাজার ৭৩০ কোটি টাকা ও বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ২৬ হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা। ২০২৪ সালের প্রথম ১০ মাসের আমদানি বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ৩০ হাজার এক’শ কোটি টাকা এবং রপ্তানি বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ২৬ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা।
বর্তমানে এই ব্যাংকের গ্রাহক সংখ্যা ১৩ লাখ ৪১ হাজার ৪৭৪ জন। ইমার্জিং ক্রেডিট লিমিটেড (ইসিআরএল) এর রেটিং এ শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের ক্রেডিট রেটিং Long Term-G AA+ এবং Short Term-G ST-2। এই রেটিং দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, দেশের শীর্ষস্থানীয় আর্থিকভাবে শক্তিশালী ব্যাংকগুলোর মধ্যে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক অন্যতম। এমনকি এই ব্যাংকে গ্রাহকদের আমানত ও বিনিয়োগ দুটো-ই অধিকতর নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত।
গ্রাহকদেরকে উৎকৃষ্ট ও আন্তরিক সেবা প্রদানের স্বীকৃতি হিসেবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক অর্জন করেছে বেশ কয়েকটি দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি/পুরস্কার। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সাসটেইনেবল (টেকসই) রেটিংয়ে সন্তোষজনক অবস্থান অর্জন করায় সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২৩ সালে পুরস্কার অর্জন করেছে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক।
এছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি তার দক্ষ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ICAB, ICMAB, ICSB এবং South Asian Federation of Accountants (SAFA) পুরস্কার অর্জন করেছে। সাফা পুরস্কার অত্যন্ত সম্মানজনক পুরস্কার যা একটি ব্যাংকের শক্তিশালী আর্থিক ভিতের পরিচায়ক। তাছাড়া সবগুলো পুরস্কারই অত্যন্ত সম্মানজনক, যা গ্রাহকদের মধ্যে আমাদের ব্যাংকের সুনামকে আরো অধিকতর বৃদ্ধি করেছে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
আমাদের প্রত্যাশা আগামী দিনগুলোতে আপনাদেরকে সাথে নিয়ে এই সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখব, ইনশাআল্লাহ। শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি ২০২৩ সালের সেরা বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য যৌথভাবে ১ম স্থানসহ তিন ক্যাটাগরীতে ২৪তম ICAB National Award অর্জন করেছে। Private Sector Banks ক্যাটাগরীতে ধারাবাহিকভাবে চতুর্থবারের মত ১ম স্থান (গোল্ড), Corporate Governance Disclosures ক্যাটাগরীতে ২য় স্থান (সিলভার) এবং Integrated Reporting ক্যাটাগরীতে যৌথভাবে ১ম স্থান (গোল্ড) অর্জন করেছে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি।
আজকের দৈনিক: ব্যাংকটির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
মোসলেহ্ উদ্দীন আহমেদ: গ্রাহকের আস্থা ফিরিয়ে আনতে নানাবিধ কার্যক্রম অব্যাহত রাখবো। এছাড়া নতুন নতুন সেবা বাড়ানোর পাশাপাশি আরো নতুন শাখা সম্প্রসারণসহ এটিএম বুথ চালু করার পরিকল্পনা আছে। রেমিট্যান্স গ্রাহকদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতিতে সিএমএসএমই খাতের ভূমিকা অপরিসীম। বর্তমানে দেশের ৯০ শতাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এই খাতের। খাতটি দেশের প্রায় ৮৫ শতাংশ কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সরাসরি ভূমিকা রাখছে। জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, কর্মসংস্থান তৈরি ও দারিদ্র্য বিমোচনই সিএমএসএমই খাতের মূল লক্ষ্য।
দেশের সামগ্রিক জিডিপিতে প্রায় ২৫ শতাংশ অবদান এ খাতের। তাই আমরাও কর্মসংস্থান ও অর্থনীতি উন্নয়নের লক্ষ্যে সিএমএসএসইতে ঋণের পরিমাণ বাড়াবো। এছাড়া আমাদের পরিকল্পনা হলো, ওভারডিও, ক্লাসিফায়েড ও অবলোপনকৃত বিনিয়োগ থেকে আদায়ের কার্যক্রমকে আরো জোরদার করা। চলমান মামলাগুলো গতিশীল করা, স্থগিত হয়ে থাকা মামলাগুলোকে পুনরায় সচল করা।
আজকের দৈনিক: সামাজিক দায়বদ্ধতা নিয়ে কতোটুকু কাজ করছে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক?
মোসলেহ্ উদ্দীন আহমেদ: দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে অবদান রাখার লক্ষ্যে কিছুসংখ্যক খ্যাতনামা শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি। দেশের সর্বশ্রেণির জনসাধারণের নিকট উন্নত ও আধুনিক ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি নিম্নবিত্ত ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল জনগোষ্ঠীকে আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ অন্যান্য জনকল্যাণমূলক কর্মকান্ডে এ ব্যাংক অংশগ্রহণ করে আসছে।
একইসঙ্গে সমাজের দুঃস্থ, অসহায় ও সম্বলহীন মানুষের মাঝে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান, দুর্গত এলাকায় খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ, মেধাবী ও গরীব ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা প্রদান-সহ নানাবিধ জনহিতকর কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই অব্যাহতভাবে মানব কল্যাণে সাধ্যমত কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
আ.দৈ/এআর/আরএ