চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহত ঝিনাইদহের শহীদ পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেছে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর একটি প্রতিনিধি দল।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের নির্দেশে প্রতিনিধি দলটি শোকাহত পরিবারের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন।
আজ রোববার সকালে ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামে শহীদ রাকিবুল হোসেনের বাসায় যান প্রতিনিধি দলটি। তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শোকাহত পরিবারের প্রতি সহমর্মিতার বার্তা পৌঁছে দেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহবায়ক ও বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, মাসুদ রানা লিটন, মুস্তাকিম বিল্লাহ, ফরহাদ আলী সজীব, শাহাদাত হোসেন।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন— ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি’র সভাপতি এ্যাডভোকেট এম এ মজিজ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, সাবেক ছাত্রনেতা প্রকৌশলী হাসনাইন মনজুর মোর্শেদ ইমন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি হাবিবুল বাশার, যুগ্ম-সম্পাদক হাসনাইন নাহিয়ান সজীব, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মহান, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মিসবাহ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, চব্বিশের গণআন্দোলনে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন চলাকালে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ড উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে রাকিবুল হোসেন এবং শৈলকূপা উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের আমদ আলী মণ্ডলের ছেলে সাব্বির মণ্ডল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহত হন।
এদিকে মাগুড়ায় ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতা-কর্মীদের গুলিতে নিহত শহীদ মেহেদী হাসান রাব্বির পরিবারের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেছে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর একটি প্রতিনিধি দল।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি দলটি মাগুরার জেলা ছাত্রদল নেতা শহীদ রাব্বির পরিবারের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন।
মাগুরায় শহীদ রাব্বির পরিবারসহ মোট ১০টি শহীদ এবং ১টি আহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়।
এসময় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি’র কোষাধ্যক্ষ ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর উপদেষ্টা এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন- ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহবায়ক ও বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন।
আরও উপস্থিত ছিলেন- সাবেক ছাত্রনেতা ইঞ্জিনিয়ার হাসনাইন মনজুর মোর্শেদ ইমন, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর সদস্য মাসুদ রানা লিটন, মুস্তাকিম বিল্লাহ, ফরহাদ আলী সজীব, শাহাদত হোসেন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি হাবিবুল বাশার, যুগ্ম-সম্পাদক হাসনাইন নাহিয়ান সজীব, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মহান, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মিসবাহ।
এছাড়া মাগুরা জেলা বিএনপি’র সাবেক আহবায়ক আলহাজ্ব আলী আহমেদ, সাবেক সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আকতার হোসেন, জেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আলমগীর হোসেন, মাগুরা সদর উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক কুতুবউদ্দিনসহ দল ও অঙ্গ-সংগঠনের স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন চলাকালে গত ০৪ আগস্ট আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মিছিলের সামনের সারিতে দাঁড়িয়েছিলেন মেহেদী হাসান রাব্বি। সেখানেই ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতা-কর্মীদের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন মাগুরা জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক রাব্বি।
মাগুরা পৌরসভার বরুণাতৈল গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে মেহেদী হাসান রাব্বি। শহীদ মেহেদী হাসান রাব্বির স্ত্রী রুমি খাতুন এবং ছোটভাই ইদ্রিস হোসেন বিশ্বাসের দাবি- পুলিশ নয়, ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতা-কর্মীদের গুলিতেই রাব্বি প্রাণ হারিয়েছেন। এসময় আন্দোলনে থাকা রাব্বির ভাতিজা খালিদ বিশ্বাসসহ অন্তত ২০জন আহত হন।
গত মে মাসে বিয়ে করেছিলেন শহীদ মেহেদী হাসান রাব্বি। সংসার শুরু করার আগেই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ঘাতকের বুলেট কেঁড়ে নেয় তাঁর প্রাণ। এরইমধ্যে স্ত্রী রুমী খাতুনের গর্ভে এসেছে রাব্বির রেখে যাওয়া স্মৃতি। শুধু রাব্বি নেই, চলে গেছেন দেশের ডাকে সাড়া দিয়ে, চিরতরে।