গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ জুলাই গণহত্যার বিচার হওয়ার আগে আর নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না, সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। রাজনীতিতে এখন দলটির গ্রহণযোগ্যতা আছে কি না তা নিয়েও সন্দিহান তিনি।
আজ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোব) সচিবালয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ফলকার টুর্কের সঙ্গে এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন আসিফ নজরুল। আওয়ামী লীগ ও শরিক দলগুলো আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না, সেই প্রশ্ন সাংবাদিকরা তখন করেন। জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, এটা আমার বলার স্টেজ না। যারা হাজার-হাজার মানুষ হত্যা করেছে, ৪০ থেকে ৫০ হাজার মানুষকে অঙ্গহানি করেছে, এবং এখনও তারা ওটার পক্ষে কথা বলে। তাদের নেত্রীর ২৮৭ জনকে দেখে নেয়ার রেকর্ডটা যদি কারেক্ট হয়, যে সন্ত্রাসী হুমকি দিচ্ছে অন্য দেশে বসে, যিনি একটা গণহত্যা মামলার আসামি, আমার মনে হয় না বাংলাদেশের মানুষ একসেপ্ট করবে এই দলকে। বিচার প্রক্রিয়ার পরে দেখা যাবে, এ বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
সরকার পতনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সত্তা বিবেচনা করে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে অন্তর্র্বতী সরকার। আওয়ামী লীগসহ ১১ দলকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখার নির্দেশনা চেয়ে একটি রিট মামলাও করেছিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের তিনজন, তবে সেগুলো আপাতত না চালানোর কথা আদালতকে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী।
দেশের অন্যতম প্রাচীন এই দলটি নিয়ে আসিফ নজরুলের ভাষ্য, তাদের বিচার এবং রিডেম্পশন আমরা যেটাই বলি, এগুলোর আগে তারা পলিটিক্যাল কর্মসূচি চালাবে কি হাজার-হাজার মানুষকে হত্যা করার জন্য? তাদের কথাবার্তা শুনে তো এরকম মনে হয়। ফলে, এগুলো একটা প্রসেসের মধ্য দিয়ে আসবে। উপদেষ্টা আরও বলেন, এখনও এত বড় আন্দোলনের নেতাদের কিশোর গ্যাং বলার চেষ্টা করে, এবং আরও মানুষকে সুযোগ পেলে হত্যা করার হুমকি দেয়, এ দলের রাজনৈতিক অধিকার থাকা উচিত কিনা এ প্রশ্ন বাংলাদেশের প্রত্যেকটা বিবেকবান মানুষের কাছে থাকল।
আ. দৈ. /কাশেম