লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিরোধপূর্ণ জমি থেকে সুপারি পাড়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাঁধে। ছুটিতে এসে এতে এক সেনা সদস্য ও তার পরিবারের চার সদস্য আহত হন। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার বামনী ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের মৃধা বাড়ীতে এ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সেনা সদস্যসহ তার পরিবারের আহতদের তিন জনকে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার দিন খবর পেয়ে রায়পুর থানা পুলিশ ও রায়পুর সেনা ক্যাম্পের সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং অভিযুক্ত সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন রিগ্যানসহ তিন জনকে সেনা হেফাজতে নিয়ে আসে।
জানা যায়, আহত সৈনিকের পরিবারের সাথে সংঘটিত সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের সালাউদ্দিন রিগ্যান, তার মা মিলন আক্তার, ভাই মুসলে উদ্দিন ও জামাল উদ্দিনসহ উভয় পক্ষের ১০জন আহত হন।
ঘটনার সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে একই বাড়ীর দু'পক্ষের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকলেও বিরোধীয় জমি থেকে দুই পক্ষের লোকজন সুপারি পাড়ে। সর্বশেষ শুক্রবার বিকেলে সালাউদ্দিন রিগ্যানসহ লোকজন সুপারি পাড়লে তার প্রতিপক্ষ মঞ্জুল আলমের পরিবারের লোকজন বাধা দেয়। এতে তারা তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে উভয়পক্ষ জড়িয়ে পড়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে। এতে মারাত্মক জখম ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পরদিন আজ শনিবার (২৬ অক্টোবর) ঢালাওভাবে ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে জানাজানি হয়। এ ঘটনায় ফেসবুকে করা পোস্টে রিগ্যানসহ দোষীদের বিচার দাবী করেন অনেকে।
আহত সৈনিক মঞ্জুল আলম বলেন, আদালতে আমাদের দেওয়ানী মামলা চলমান। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাউদ্দিন রিগ্যানের নেতৃত্বে আমাকে কুপিয়ে জখম করেছে।সেনা হেফাজতে থাকায় এ ঘটনায় অভিযুক্ত আইনজীবী রিগ্যানসহ অন্যান্যদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন ভূঁঞা বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে দু-পক্ষের লোকজন মারামারি করে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনা বাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরবর্তী তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আ. দৈ. /কাশেম/জিহাদ