Publish: Thursday, 7 March, 2024, 9:56 AM
জাল-জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাৎ মামলার আসামিদের দারা বাদীর ওপর হামলা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে সুপ্রিম কোর্টের ভেতরে। ভুক্তভোগী আমিনুল ইসলাম রাজধানীর বাড্ডার বিশিষ্ট পাথর ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কাছে আবেদন করেছেন।
এ ব্যবসায়ী বলেন, আদালতের মতো পবিত্র জায়গায় এসে হামলার শিকার হলে যাব কোথায়? সেদিন যদি আইনজীবীরা আমাকে রক্ষা না করতো, এতদিন আমার কবর হয়ে যেতো।
রোববার (৩ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে নিজের ওপর হামলার বর্ণনা দিয়ে এসব কথা বলেন ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম।
এদিকে, বিষয়টিকে খুবই দুঃখজনক ও নিন্দনীয় দাবি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বিশিষ্ট আইনজীবী সিনিয়র অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম।
আমিনুল ইসলাম ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মামলার প্রয়োজনে হাইকোর্টে গেলে ওইদিন আগাম জামিনের জন্য অ্যাসরোটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আসাদুল ইসলাম ও পরিচালক মো. আমির হোসাইনও হাইকোর্টে আসেন। এক পর্যায়ে আসামিরা তার পিছু নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের সামনে ১৫/১৬ জন সন্ত্রাসীসহ তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা চালায়। এলোপাতারি মারধর করে বিভিন্ন জায়গায় জখম করে। এক পর্যায়ে প্রাণরক্ষার্থে এক আইনজীবীর রুমে আশ্রয় নেন তিনি। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়াসহ শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। এছাড়া সুপ্রিম কোর্ট বার সম্পাদক বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন।
তিনি আরও বলেন, আসামিরা এখন মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছি। আমাকে মেরে ফেলার আশঙ্কা করছি। তিনি সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সেদিনের হামলার ঘটনা জড়িতদের চিহিত করে গ্রেপ্তারে হাইকোর্টের কাছে আবেদন করা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতির কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন।
জানা যায়, বাড্ডার মেসার্স ভাই ভাই ট্রেডার্সের কর্ণধার আমিনুল ইসলাম জয়েন্ট বেঞ্চারে অ্যাসরোটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আসাদুল ইসলাম ও পরিচালক মো. আমির হোসাইনের সঙ্গে ব্যবসার জন্য চুক্তি করেন। একপর্যায়ে তারা দুজন স্বাক্ষর ও কাগজপত্র জালজালিয়াতির মাধ্যমে তার কাছ থেকে ১৪ কোটি টাকা আত্মসাত করে। এমনকি তার বিরুদ্ধে উল্টো মামলা করে হয়রানি করে। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী আমিনুল জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আসাদুল ইসলাম ও আমির হোসাইনের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় গত ৩০ জানুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদ আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় আগাম জামিন নিতে হাইকোর্টে যান আসামিরা। ওইদিন বাদীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে বিশিষ্ট আইনজীবী সিনিয়র অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, আদালত পবিত্র অঙ্গন। এখানে মানুষ বিচার চাইতে আসে। আদালতে এসে যদি মানুষ হেনস্তার শিকার হয়, তাহলে খুবই নিন্দনীয়। এটা খুবই দুঃখজনক। আমি সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।