যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন ওপার বাংলার অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। সম্প্রতি মালয়ালম চলচ্চিত্র জগতে যৌন হেনস্তার ঘটনা নিয়ে প্রকাশ হওয়া ‘হেমা কমিশন’ এর রিপোর্টে এ তথ্য উঠে আসে।
অনেক অল্প বয়সেই টালিউডে আত্মপ্রকাশ করেন ঋতাভরী। ছোট বয়সে সাফল্যও পান। ঋতাভরীর ধারাবাহিক ‘ওগো বধূ সুন্দরী’ একসময় বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। ধারাবাহিকে সাফল্য মিলতেই একবারে বড় পর্দার নায়িকা হওয়ার প্রস্তুতি নেন। আর সেখানেই কাজের নামে যৌন হেনস্তার শিকার হতে হয় তাকে। তাও আবার টালিউডের এক নামী প্রযোজকের হাতে।
সে সময় বিষয়টি প্রকাশ করার সুযোগ পাননি ঋতাভরী। কারণ, অভিনেত্রীর তখন পায়ের তলার মাটি শক্ত ছিল না। কিন্তু সে ঘটনা যেন এখনও ভুলতে পারেন না অভিনেত্রী।
সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ঋতাভরী বলেন, ‘ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে বেশ কিছু বিরক্তিকর ঘটনা ঘটে। একটা মিটিং করতে যাই টালিউডের এক খ্যাতনামা প্রযোজকের সঙ্গে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও গায়ে হাত দেন তিনি। চেঁচিয়ে বেরিয়ে যাই সেখান থেকে। তিনি হাত ধরেছিলেন, আমার তার পর থেকে নিজেকে নোংরা লাগছিল। আমি মাকে পর্যন্ত বলতে পারিনি। শুধু মনে হত, আমি ভুল করেছি। আমি কেন গেলাম মিটিংটাতে! আসলে পায়ের তলার মাটি শক্ত ছিল না, ভয়ে ছিলাম তখন। এত বড় প্রযোজক! আমি মুখ খুললে আমাকেই শেষ করে দেবেন হয়তো।’
যদিও এখন পরিস্থিতি বদলেছে। নিজের অবস্থানও পোক্ত করেছেন অভিনেত্রী। বলিউড থেকে দক্ষিণী ছবি পর্যন্ত যাতায়াত বেড়েছে ঋতাভরীর। যদিও কাউকে কলঙ্কিত করা তার উদ্দেশ্য নয় বলেই জানান অভিনেত্রী।
প্রশ্ন উঠতে পারে, এত দিন পর মুখ খুললেন কেন? ঋতাভরী জানান, শহরে যখন আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে দিনের পর দিন প্রতিবাদ চলছে, সেই সময়েই এক প্রতিবাদ মিছিলে তিনি দেখতে পান ওই প্রযোজককে। তার পর আর চুপ করে থাকতে পারেননি। সূত্র : আনন্দবাজার
আ.দৈ/এআর