শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
Ajker Dainik
মাদারীপুরে

জেলা পরিষদের ২০টি গাছ নামমাত্র মূল্যে বিক্রির অভিযোগ 

আজকের দৈনিক | মাদারীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৪, ২০২৪, ০৯:১২ পিএম

জেলা পরিষদের ২০টি গাছ নামমাত্র মূল্যে বিক্রির অভিযোগ 
নিজস্ব ছবি

মাদারীপুর জেলা পরিষদের মালিকানাধীন গাছ নামমাত্র মূল্যে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ ক্রেতাদের সঙ্গে যোগসাজশে কমমূল্যে এসব গাছ বিক্রি করে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে পরিষদ রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

জেলা পরিষদ কার্যালয় সূত্র জানায়, মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার গোপালপুর এলাকায় ১৯টি এবং জেলা পরিষদ ভবনের পাশের ৩টি গাছ কাটার জন্য দরপত্র আহবান করা হয়। জেলা পরিষদ থেকে গাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হলে গাছ কাটা শুরু করেন। গোপালপুর এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজন গাছ ব্যবসায়ী ও করাতকল মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই ১৯টি গাছের বেশির ভাগই রেইনট্রি। এর মধ্যে বেশির ভাগই পরিপক্ব গাছ।

গাছগুলো বাপ্পি নামে এক ঠিকাদার ১ লাখ ৬৭ হাজার টাকায় ক্রয় করে অন্য ব্যবসায়ীদের কাছে ৩ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন এবং জেলা পরিষদের ভবনের পাশের ৩টি গাছ জেলা পরিষদ বিক্রি করেছে মাত্র ৪৭ হাজার টাকায়। সেই গাছ ঠিকাদার বিক্রি করেছে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকায়।

গাছ কাটা শ্রমিক জয়নাল মৃধা বলেন, জেলা পরিষদের ভিতরে যে তিনটি গাছ আমাদের ঠিকাদার এক লক্ষ দশ হাজার টাকায় কিনেছে। অথচ এই গাছ জেলা পরিষদ বিক্রি করেছে মাত্র ৪৭ হাজার টাকায়।
গোপালপুর এলাকার বাসিন্দারা বলেন, এই সড়কের বেশির ভাগ গাছের বয়স ১৫ থেকে ২০ বছর। তিনি আরও বলেন, টাকা লুটপাটের জন্যই এত কম দামে গাছগুলো বিক্রি করা হয়েছে।
হান্নান শাহ বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই এই সড়ক ধরে জেলা শহরে যাতায়াত করি। এসব গাছের বেশির ভাগই পুরোনো। বয়স্ক প্রতিটি গাছের মূল্য ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা হবে।


জেলা পরিষদের গাছ ক্রয়ের ঠিকাদার মো.বাপ্পি বলেন, আমরা টেন্ডারের মাধ্যমে গাছ ক্রয় করেছি আমাদের এখানে কোন সমস্যা নাই। আপনারা জেলা পরিষদের সাথে কথা বলেন।
মাদারীপুর জেলা পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত) প্রশাসনিক কর্মকর্তা বেগম লতিফা ইয়াসমিন বলেন, যোগসাজশ করে কম মূল্যে গাছ বিক্রির অভিযোগ সঠিক নয়। দরপত্র আহ্বান করে গাছ বিক্রি করা হয়। সর্বোচ্চ দরদাতার কাছে গাছ বিক্রি করা হয়েছে।

কম মূল্যে গাছ বিক্রির বিষয়ে জানতে জেলা পরিষদ প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা রুয়েল সাংমা বলেন, নিয়ম অনুযায়ী টেন্ডার দেওয়া হয়েছে এবং বন বিভাগ যে মূল্য নির্ধারণ করেছে সেই অনুযায়ী গাছ বিক্রি করা হয়েছে।

আ. দৈনিক/ একে / ইমদাদুল 

Link copied!